চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে পুলিশের বাক যুদ্ধো । পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে ছাত্রলীগের সভাপতি দুদু ,যুগ্ম সম্পাদক টিটু ও নেতা কর্মীসহ ১০জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা বিক্ষিপ্ত ভাবে খন্ড খন্ড মিছিল করে এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা পৌরসভার কাছে বিজিবি’র একটি পিকাপ ভ্যান ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে ব্যবসাহীরা দোকান পাট বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ও গাড়ী ঘোড়া চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিরষনের জন্য আলীগ নেতা কর্মীরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছে বলে ছাত্রলীগ সভাপতি দুদু জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা(ওসি) জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর একটি মারামারী ঘটনায় ছাদেক আলী মল্লিক পাড়ায় আব্দুল গনির ছেলে লতিফ(২০) আহত হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে শহরের পলাশ পাড়ার রবিউলের ছেলে ছাত্র লীগ কর্মী ভিজে স্কুলের ছাত্র মাসুদুল হক (১৬) কে আসামী করে একটি জিডি হয়। জিডির সূত্রে সদর থানার এস আই খায়ের রবিবার সন্ধায় মাসুদুলকে আটক করে । আটককৃত মাসুদুল কে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয় নিয়ে এস আই খায়ের ও ছাত্রলীগ সভাপতি দুদুর সাথে মোবাইল ফোনে বাকবিতন্ডা হয়।
পরে সন্ধা ৭টার দিকে দুদু ও তার ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আসে এবং আবারো এস আই খায়েরের সাথে বাকবিতন্ডা, হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ কর্মী ও এস আই খায়েরসহ পুলিশ সদস্যরা।
ছাত্রলীগ কর্মীরা থানা বের হয়ে থানার সামনে পুশিলের বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে পুলিশ ঐ মিছিলে হামলা করে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি দুদু, যুগ্ম সম্পাদক টিটু, ছাত্রলীগ কর্মী চঞ্চল ও লিটনসহ ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় সদর থানা এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি