মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে চুল। সম্প্রতি সময়ে চুল পড়া সমস্যা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই।
মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে পাতলা হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছেন আপনি। নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেছেন। আর শেষমেশ ডাক্তারের কাছে গিয়েও মিলছে না সমাধান।
নারী ও পুরুষ সবাই কমবেশি এই সমস্যায় মুখোমুখি হন। তবে মাত্রারিক্ত চুল পড়া কিন্তু খারাপ লক্ষণ। কারণ একবার চুল পড়া শুরু হলে অনেকের চুল এত বেশি পড়ে যে টাক পড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১০০ চুল পড়া স্বাভাবিক। এর বেশি পড়লে তা চিন্তার কারণ।
কেন চুল পড়ে?
মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরোনো কোষগুলো ঝরে যায়। কিন্তু পুরোনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক ঝরে যেতে পারে না, তখন সেগুলো জমে যায় ও ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়।
ফলে খুশকি হয়। এ থেকে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এর মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো চুল পড়া। এ সমস্যায় ভুগলে বেশি দেরি না করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আসুন জেনে নেই চুল পড়া বন্ধে করণীয়।
ওজোন থেরাপি
চুল পড়া কমাতে ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ওজোন থেরাপি খুব উপকারী। এ থেরাপির ফলে মৃত কোষ সরে গিয়ে গোড়া থেকে চুল গজানো শুরু হয়। প্রথমে চুলে ৫ থেকে ১০ মিনিট এই ওজোন থেরাপি দিন। এতে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।
তেল ম্যাসাজ
একটি পাত্রে নারকেল তেল, ক্যাস্টর তেল ও দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ভেষজ তৈরি করুন। তালুতে চিরুনির সাহায্যে ঘষে মৃত কোষগুলোকে আলাদা করে ফেলুন। এর পরে ঘষে ঘষে মাথায় তেল দিন।
জেল ব্যবহার
চুলের ফাঁকে হেয়ার জেল লাগান। জেল ব্যবহারের ফলে চুলের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
টনিক ব্যবহার
টনিক ব্যবহার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। এর মধ্যে রয়েছে আমল হেয়ার অয়েল। এই তেল চুলে দিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে করে চুলের গোড়ায় যে রক্তকণিকাগুলো আছে, সেগুলো উদীপ্ত হবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
হেয়ার স্টিম
এবার চুলের জন্য ১০ মিনিট স্টিম করুন।
প্যাক ব্যবহার
খুশকি দূর করার জন্য বিশেষ প্যাক ব্যবহার করুন। একটি র্যাপিং পেপারের সাহায্যে চুলগুলো মুড়িয়ে রাখুন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন।
হেয়ার সিরাম
চুল শুকানোর পরে চুল ঝরঝরে রাখতে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন।