রায়পুর উপজেলাজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় চিকিৎসকের অবহেলার কারণে রোকছানা (১২) নামের এক ৫ম শ্রেণীর মাদ্রসার ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পৌর শহরের নিরাময় হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তাররা হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোকছানা পৌর দেনায়েতপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির আবুল কাশেমের মেয়ে এবং দেনায়েতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

রোকছানার ভাই হাছান চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ জ্বর থেকে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ল²ীপুর ফেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেনকে রোকছানাকে দেখানো হয়েছে। এসময় তিনি তার প্যাডে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে ওই চিকিৎসা দেওয়া কথা বলে। পরে রাত সাকে ৯টার দিকে রায়পুর পৌর শহরের নিরাময় হাসপাতাল এসে ডাঃ মোঃ মোরশেদ আলম (হিরু) কে দেখালে তিনি শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন দিতে বলেন।

এর পর অধাঘন্টা পারেও রোগীর কোন খোঁজ খবর ও অক্সিজেন না দিয়ে রোগীতে ব্যাডে ফেলে রাখা হয়। এতে রোগীর অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ডাঃ মোরশেদকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য হাতে পায়ে ধরে অনেক অনুরোধ করা হলে তিনি কোন কথা না শুনে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এর কিছুক্ষন পরে রোকছানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এ ব্যাপারে ডাঃ মোঃ মোরশেদ আলম (হিরু) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগীকে দেখেই স্বজনদের বলা হয়েছে রোগীর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। মানবিক কারণে কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন দেওয়া কথা বলো হয়েছে। কোনো কর্তব্য অবহেলা করা হয়নি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, রোগীর স্বজরা হাসপাতালের সামনে উত্তেজিত হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। রোগীর পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ না করায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর পরেও যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here