স্টাফ রিপোর্টার :: রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাম্প্রতিক একটি জরিপে জানা যাচ্ছে, দেশে এবার যেরকম হারে চিকনগুনিয়া রোগ ছড়িয়েছে, তা সাম্প্রতিককালে আর দেখা যায়নি।
আর এই চিকনগুনিয়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ৪ জুলাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুজাউদ্দৌলা আকন্দ। আবেদনটির ওপর আজ প্রাথমিক শুনানি হয়।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আইনজীবী সুজাউদ্দৌলা আকন্দ জানান, হাইকোর্টের রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে -চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত যেসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রয়েছে সেখানে স্প্রে ও যথাযথ ওষুধ ছিটানোর মাধ্যমে এডিস ও অন্যান্য মশা ধ্বংস করতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সারা দেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের আক্রান্ত এলাকার ডাম্পিং স্পটগুলো পরিষ্কার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে , হাইকোর্টের রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী আকন্দ জানিয়েছেন, ” স্বাস্থ্যসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিবাদীদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত আদেশ দেবেন আদালত”।