মোঃআশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ::

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাঘের শুরুতেই আমবাগানগুলোর পরিচর্যা শুরু করেছেন বাগান মালিকরা। ফলন বেশি পেতে তারা নিজ নিজ বাগানে স্প্রেও করছেন। গাছে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষায় শুরু করেছেন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও ছত্রাকজাতীয় স্প্রে। কিছু কিছু বাগানে আগাম জাতের আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। আমচাষিরা স্বপ্ন দেখছেন গতবারের তুলনায় বেশি আয়ের।চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুরে ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৯৮ টন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার শতভাগ আমগাছ মুকুলিত হবে। ফলে উৎপাদনও ভালো হবে। উপজেলায় আশ্বিনা ১ হাজার ২৩০ হেক্টর, ফজলি ৯৮৫ হেক্টর, ল্যাংড়া ৩৯৫ হেক্টর, গোপালভোগ ২২০ হেক্টর, খিরসাপাত ২২৫ হেক্টর, বোম্বাই ১৫ হেক্টর, লক্ষণভোগ ১৯৫ হেক্টর, আম্রপালি ২৯০ হেক্টর, মল্লিকা ৫ হেক্টর, অন্যান্য উন্নত জাতের ৩৫৫ হেক্টর ও গুটি-জাতীয় ২৭৫ হেক্টর জমিতে গাছ রয়েছে। এছাড়া আম উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যাগিং ৪১০ হেক্টর ও গ্যাপ অনুসরণ ১২০ হেক্টর জমিতে করা হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

আমচাষি পারভেজ শেখ বলেন, ১৩ বিঘা জমিতে আশ্বিনা, ল্যাংড়া, অর্রুপালি, কাটিমন-জাতীয় আম রয়েছে। তিনি সালফার, বোরন, ইমিডাক্লোপ্রিড, ল্যাম্বডা সাইহ্যালোথ্রিন বাগানের গাছে ব্যবহার করছেন। মুকুলের আগে স্প্রে করলে গাছের সজীবতা বৃদ্ধি পায়, পোকামাকড় মুকুল থেকে বিরত থাকার ফলে গাছে মুকুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাতে ফলনও বৃদ্ধি পায়।

রহনপুর এলাকার উজির নামে আরেক চাষি বলেন, গাছের গোড়ায় পানির সেচ দিচ্ছি। গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পরিচর্যা করলে গাছে আমের ফলন ভালো হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বেশ কয়েকজন আমচাষি ও বাগানমালিক জানান, এখন শীতের তীব্রতা বেশিআছে। পৌষ মাসের শেষের দিকে গাছে মুকুলের লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক আগাম জাতের আমগাছে ফুটতে শুরু করেছে মুকুল। ফলন বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিচর্যা করা হচ্ছে। তারা আশা করছেন, গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ লাভবান হবেন।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, আমগাছে কিছুদিনের মধ্যে মুকুল আসতে শুরু করবে। কুয়াশার কারণে পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। অনেক আমচাষি কীটনাশক ও ছত্রাকজাতীয় স্প্রে করছে। এছাড়া আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রায় চেয়ে বেশি আম উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here