সোনামসজিদ বন্দরে ১৪২ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ  চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৪২ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৮২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে স্থলবন্দর কাস্টমস। অন্যদিকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৭১ কোটি ১৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪২ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। সময়োপযোগী নানারকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এই অর্জনের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়াও গত অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন ফল ও পাথর আমদানি হওয়ার কারণে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মূলত নির্ভর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ওপর। তারা সঠিকভাবে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে। এতে গতিশীলতা এসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দরে।

তিনি আরও জানান, গতবছর ফলের আমদানি ব্যাপকহারে বেড়েছিল। আমরা জানি, একটি ভারতীয় ট্রাক ফল আমদানি করলেই সরকার রাজস্ব পায় প্রায় ৫ লাখ টাকা। বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি হওয়ার কারণে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এছাড়াও আমদানি ও রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীসহ সকলের সহযোগিতার কারণেই রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার ফলেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। যেমন ভারতীয় টাটা কোম্পানির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি, যাতে তারা এই বন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি করে। ইতোমধ্যে তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে টাটা গাড়ির ইঞ্জিন বাংলাদেশে রপ্তানি করছে। এতে সড়কপথ ব্যবহার করা রপ্তানি করা তাদের জন্য যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি আমাদের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন তাই দফায় দফায় তাদেরকে নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আগে এই স্থলবন্দরের একটি বদনাম ছিল, নানা জায়গায় চাঁদাবাজি হয়। এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। আগামী দিনেও যাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করা যায়, সে লক্ষ্যে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সীমানা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত পচনশীল পণ্যের জন্য বড় জায়গা নিয়ে তা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here