শিপুফরাজী।

ভোলা: চরফ্যাশনে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ডিলার নিয়োগ, ভোক্তা তালিকা প্রণয়ন, মাপে কম দেয়া, কালোবাজারে বিক্রিসহ নানান অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।

332সরকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভাব দূরীকরণের লক্ষ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য মার্চ মাস থেকে দরিদ্র মানুষের (ভোক্তা) তালিকা প্রস্তুত করে ডিলারও নিয়োগ করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী চরফ্যাশন উপজেলায় ১৯ ইউনিয়নের ২৪হাজার ৪শ ১৩জন হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ৫০জন ডিলার নিয়োগ করা হয়। যাদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। ডিজিটাল মিটারে চাল মেপে দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ডিলার বালতি ভরে চাল দিচ্ছে। ফলে প্রত্যেক ভোক্তা ২ থেকে ৩ কেজি চাল কম নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া অনেক বিক্রয় কেন্দ্রেই তদারকি কর্মকর্তা দেখা যায়নি। অনেক ইউনিয়নে ভোক্তা তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নে ৩নং ওয়াডে মৃত ব্যক্তি আবুল কাশেম ও আছমত আলীর নাম তালিকায় ওঠেছে। এ নিয়ে নুরাবাদ ইউপি সদস্য মো.শাহাবু্‌দ্দিন এর আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মনোয়ার হোসেনের নির্দেশে স্‌ংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ওই তালিকা সংশোধন করেছেন বলে উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে জানাগেছে।

এছাড়া ও চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ২৫হতদরিদ্র এখনো তাদের নামে বরাদ্দকৃত কার্ড হাতে পায়নি। ফলে তাদের সরকার প্রদত্ত খাদ্য সহায়তার চাল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক জমাদার অভিযোগ করেন, খাদ্য অফিস থেকে কার্ডগুলো ইউনিয়ন পরিষদে না দিয়ে ডিলারের কাছে দেয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা উপখাদ্য পরিদর্শক মো.আবুল কালাম জানান,কার্ডগুলো ইউপি সচিবের স্বাক্ষর গ্রহন পুর্বক তার হাতে দেয়া হয়েছে।

আসলাপুর ইউনিয়নের ওমর পুর গ্রামের হতদরিদ্রের তালিকা অর্ন্তভুক্ত মো.ইউনুছ (কার্ড নং-৪২৬), জাহের(কার্ড নং ৩৮০),জামাল(কার্ডনং-৩৪৮),জান্নাত (কার্ডনং-৩৬৫) জানান, তাদের প্রত্যেককে ৩০ কেজির স্থলে ২৮কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। কার্ড দেয়ার সময় তাদের কাছ থেকে, ডিলার মোস্তাফিজুর রহমান চুন্নু ২০টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন অভিযোগকারীরা।

মঙ্গলবার সকালে অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মুখারবান্দা বাজারে গিয়ে হতদরিদ্রদের ৩০ কেজির স্থলে ২৮ কেজি করে চাল বিতরণের অভিাযোগের সত্যতা মিলেছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলেও অভিযোগ আমলে নেননি ইউএনও মো.মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন হতদরিদ্ররা এসে লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জিন্নাগড় ইউনিয়নের সামসুন্নাহার, সুফিয়া বেগমসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রাজিব ডিলার আমাদের নামে কার্ড করে দেয়ার নামে ১শ টাকা করে আদায় করেন তবে আমাদের নামে কোন কার্ড হয়নি। ফলে আমরা চাল পাইনি।

একই গ্রামের বসির আহম্মেদ জানান, ডিলার রাজিবকে ১শ টাকার বিনিময়ে তার নাম তালিকায় অন্তরভুক্ত করেছেন,

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here