জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল এর আঘাত মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি দুযোর্গ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সফিউজ্জামন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল, পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট, সিপিবি, দূর্যোগ ব্যাবস্থা কমিটি এবং বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে অবহিত করতে বলা হয়। এছাড়া উপকূলের সর্বত্র মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকরা।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০টি সাইক্লোন শেল্টার ও গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিকেল টিম। এছাড়া উপজেলা সমূহকে জরুরী সভা করে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ২৫০০ কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনে যাতে তাৎক্ষণিক সরবরাহ করা যায়। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও শনিবার পূর্ব নিধারিত জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এ দিকে বুলবুলের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। উত্তাল রয়েছে নদ-নদীও।