আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ঘন ঘন লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজে চরম দূর্ভোগে দিন কাটছে খাগড়াছড়ির বিদ্যৎ গ্রাহকদের। শীতের রেশ কেটে গরম আসতে না আসতেই খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলা হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এর মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদরেই রয়েছে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার ১২টি উপজেলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের যেন লুকোচুরি খেলা চলছে দিনের পর দিন। গ্রাহকরা তীব্র গরমে ত্যক্ত-বিরক্ত।
একদিকে চড়া দামের বিদুৎতের বিল পরিশোধ অপরদিকে মোমবাতি আর কেরোসিনের মূল্য দিতে দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৮টিরও বেশি ফিডার লাইনের অধীনে ৪৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য প্রায় ২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৫ মেগাওয়াট। যা পিক আওয়ারে মাঝে-মধ্যে ১২ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
ফলে জেলা ও উপজেলা শহরের পাশাপাশি পাড়া-গ্রামের প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিং করাতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের এক ঘন্টার লোড শেডিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় গ্রিড লাইনের লোডশেডিং দেয়া হলে সেক্ষেত্রে টানা দুই ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
তাছাড়া খাগড়াছড়ির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সোর্স খাগড়াছড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। সূত্র মতে, বর্তমানে মারলিন উলফ লাইন বা তারের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। চলমান দুর্বল এ লাইন বদলে গ্রসবিক তার স্থাপন করা গেলে লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজ কমানো সম্ভব। অন্যথায় দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অচিরেই এ দুর্ভোগ লাগবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে হয়রানির হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান।