শেরপুর : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় এখন সারা বছরই সবজি চাষ হচ্ছে।

আর এসব সবজি আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছে শতশত কৃষক। সীমানত্মবর্তী এ উপজেলার পাহাড়ী গ্রামগুলোতে ধানচাষ তেমন একটা ভালো হয় না।

আর এসব উচু জমিগুলো সবজি চাষের উপযোগী। এ সুবাদে প্রান্তিক চাষীরা বেছে নিয়েছে সবজি চাষ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কৃষক সবজি চাষের সাথে জড়িত।

সবজি আবাদে এসব এলাকাগুলো হচ্ছে, উপজেলার হলদিবাটা, বনগাও, জিগাতলা, দিঘীরপাড়, কালিনগর, ঘাগড়া, জোলগাও, হাসলিবাতিয়া, চেঙ্গুরিয়া, বানিয়াপাড়া, গোমার, গারোকোনা, সন্ধ্যাকুড়া, গান্ধিগাও, ভালুকা, জারম্নলতলা, মানিককুড়া, বাওঐ বাধা, হলদিগ্রাম, ফাকরাবাদ ও ভারুয়া উ্লেখযোগ্য। আবাদকৃত সবজি গুলো হলো, শিম, শসা, লাউ, চালকুমড়া, বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, পুটল, ও বেগুন। বর্তমানে এসব সবজি সারা বছর আবাদ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তর ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জলবায়ূ পরিবর্তনের কারনে এ উপজেলায় সারা বছর সবজি চাষ হচ্ছে।

উৎপাদনকৃত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে। সবজি চাষ করে কৃষকরা ধান চাষের চেয়ে লাভবান হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ কারনে কৃষকরা সবজি চাষে ঝুকে  পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে সবজি বেচাকেনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।  উপজেলার গোমরা গ্রামের কৃষক আবুল বাশার জানায়, ২৫ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করতে তার ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার টাকা।

আর তিনি এ পর্যন্ত করলা বিক্রি করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাক। কৃষক আব্দুস সালাম জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে বরবটির আবাদ করতে তার ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত বরবটি বিক্রি করেছেন প্রায় ৫৫ হাজার টাকা।

কৃষক হাছেন আলী জানান,  ২০ শতাংশ জমিতে শসা আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার টাকা। উৎপাদিত শসা তিনি বিক্রি করেছেন ৬০ হাজার টাকা।

শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ৩০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত শিম বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার টাকা। তারা আরো জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ২৫ টাকা, শিম ৩৫ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, চিচিংগা ৩৫ টাকা,  করলা ৩৫ টাকা ও লাউ প্রতি পিচ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাহরিয়ার  মিল্টন/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here