মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ ) প্রতিনিধি :: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামেথাসনের মতো ভয়ানক ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মূখে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, বেশি লাভের আশায় কিছু ব্যাক্তি ও ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যবহার করছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা নানা ব্র্যান্ডের পাম ট্যবলেট ও স্টেরয়েড।
এসব ক্ষতিকর ঔষধ পশুর দেহে প্রয়োগের ফলে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য মোটা হলেও মাংস মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূণ।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মতে, পাম ট্যাবলেট ও স্টেরয়েড পশুকে খাওয়ালে অল্পদিনের মধ্যে অস্বাভাবিক মোটা মনে হলেও পশু জবাইয়ের পর সে তুলনায় মাংস পাওয়া যায় না।
কেননা পাম ট্যাবলেট ও স্টেরয়েড খাওয়ানো পর পশুর চামড়ার ভেতরে বাড়তি পানি জমে বেশী মোটা দেখায় । এতে কোরবানীর হাটে পশু কিনতে আসা লোকজন প্রতারনার শিকার হয়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মোটা হওয়ার আশায় অনেক ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী নারী-পুরুষও এসব ট্যাবলেট খেয়ে মারাত্বক সাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। ট্যাবলেট খাওয়ার পর মানুষের মুখের দু’পাশ ফুলে গিয়ে অপেক্ষাকৃত স্ফীত দেখায়।
ফলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে শরীর মোটা মনে হলেও কয়েক মাস পর ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ক্যানসার,কিডনী নষ্ট ও চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
সরেজমিনে তথ্যসংগ্রহকালে উপজেলার কয়েকজন ওষুধ ব্যাবসায়ী জানান, এসব ট্যাবলেট ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাল,হলুদ ও সাদা রংয়ের খোলা বড়ি।
যা পেশাদার পশু ব্যাবসায়িরা মোটাতাজা করনে অবাধে ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
এ সময় কয়েকজন ক্রেতা জানান, পশু মোটাতাজাকরন এসব ট্যাবলেট দেশীয় যেকোন ব্র্যান্ডের চেয়ে দামে কম বলে তারা এসব ক্রয়ে বেশি আগ্রহী।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ.জেড.এম বদরুল হাসান জানান, এসব ট্যাবলেটে পশু মোটা হলেও গোশত ওজনে কম ও স্বাদহীন হয়ে পড়ে।এ টি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: হেলাল উদ্দিন জানান, মোটাতাজাকরন ট্যাবলেট খেলে মানবদেহের হাড় নরম হওয়াসহ রোগ প্রতিরোধ মক্ষতা কমে যায়।