খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট এলাকায় জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করে চিহ্নিত চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের সদস্য শহিদ মোল্লার মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছেন ন্যাশনাল হাউজিং সোসাইটির মালিক নাজমুল ইসলাম সরদার। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চিহ্নিত ভুমিদস্যু হিসেবে পরিচিত শেখ আব্দুল কাদের বিগত কয়েক বছর যাবত ৮৪ নং কৃষ্ণনগর মৌজার ১.৮৬৫০ একর জমি সম্পুর্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছিলো। নিজেদের জমি উদ্ধার ও বিক্রয়ের জন্য গত ২৭ জুলাই জমির প্রকৃত ওয়ারিশগন বটিয়াঘাটার আলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু সন্তোষ মন্ডল ও গুরুদাসী মন্ডল ওরফে দাসী মন্ডলের পুত্রদ্বয় যথাক্রমে হাজারীলাল মন্ডল, সুভাষ মন্ডল, সুনীল মন্ডল ও পুলিন মন্ডল তাদের জমাজমি দেখাশুনা ও বিক্রয়ের জন্য ন্যাশনাল হাউজিং সোসাইটির মালিক মোঃ নাজমুল ইসলাম সরদারকে আমোক্তার নিযুক্ত করেন। এ আমোক্তার নিযুক্ত হওয়ার কারনে কাদের ও তার বাহিনীর রোষানলে পড়েন নাজমুল ইসলাম সরদার। নাজমুল সরদার জানান, জমির প্রকৃত ওয়ারিশদের কাছ থেকে আমোক্তার নিযুক্ত হওয়ার পড়ে কাদের ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এছাড়া একাধিক মিথ্যা মামলার জড়ানোর হুমকি দেয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বিগত ৯নভেম্বর সোনাডাঙ্গার বাইপাস সড়কের আলী ক্লাব নামকস্থানে কাদের বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড তেরখাদা উপজেলার নাতুনিয়া গ্রামের মৃত্যু ফহম উদ্দীন মোল্লার পুত্র শহিদ মোল্লার সাথে ওই স্থানের কিছু লোকের সাথে গন্ডগোল হয়। সেই গন্ডগোলের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে যাতে তাকে আসামী করেছে। নাজমুল আরো জানান, ঘটনার দিন তিনি খুলনার বাহিরে ছিলেন এবং সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে তাহার কিছুই জানা নেই। তিনি বলেন, তার সম্পত্তি জোর জবরানে ভোগ দখল করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। একই মামলায় জড়ানো অপর এক আসামী মোঃ মশিউর রহমান জানান, আমাকে কিভাবে ওই মামলার আসামী করা হয়েছে তাহা আমার জানা নেই। মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি জানান। মশিউর রহমান আরো জানান, তেরখাদার উপজেলার নাতুনিয়া গ্রামের মৃত্যু ফহম উদ্দীন মোল্লার পুত্র শহিদুল ইসলাম মোল্লা ওরফে শহিদ মোল্লা এক সময়ে পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি জনযুদ্ধের সক্রিয় সদস্য ছিলো। তেরখাদা থানাসহ বিভিন্ন থানার তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জনযুদ্ধের প্রধান রশিদ নিহত হওয়ার পরে জিরোপয়েন্টের কাদেরের শেল্টারে শহিদ খুলনায় বসবাস শুরু করে। কাদের তাকে শেল্টার দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত করে। জিরোপয়েন্ট এলাকায় শহীদের অত্যাচারে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানিক নামক এক যুবককে কুপিয়ে শহীদ ওই এলাকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে ছিলো। শহীদদের বিচারের দাবীতে সভা সমাবেশ ও মানব বন্ধন হয়েছিলো জিরোপয়েন্টে। মশিউর আরো জানায়, শহীদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধে প্রতিবাদ করায় তাকে মামলার আসামী করা হয়েছে কিন্তু তিনি মারামারির ঘটনা সর্ম্পকে কিছুই জানেন না। এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সুত্র জানায়, শহীদ মোল্লার বিরুদ্ধে তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সমপ্রতি একজন জনপ্রতিনিধি হত্যা ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত রয়েছে বলেও জানাগেছে। সুত্র আরো জানায়, প্রাথমিকভাবে তদন্ত চলছে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে জিরোপয়েন্টের একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান শহীদের অত্যাচারের জিরোপয়েন্ট এলাকায় চরম অশান্তি বিরাজ করছে। তারা সাধারন মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শিমুল খান/খুলনা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here