এস.এস শোহান, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান (রহঃ) এর মাজারে এসে খাদেমদের হামলায় ১০ জন আহত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার বিকেলের দিকে মাজার প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত মুজিবর রহমান  বাদি হয়ে সদর থানায় ১০/১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, খুলনার মিস্তীপাড়া এলাকার মো. মুজিবর রহমান (৮২), একই এলাকার সাঈদ শেখের ছেলে বাবু শেখ (২০) এবং মেহেদি হাসান মিঠু (১৮) মনিরা বেগম (৪০) ,চম্পা বেগম(২৮)।

এদের মধ্যে বাবু শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তপতী পোদ্দার বলেন, মাজারে হামলায় আহত ২ জনকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে বাবু নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অপর আর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

হামলায় আহত মো. মুজিবর রহমান জানান, হযরত খানজাহান (রহঃ) এর মাজারে মানত থাকায় তারা খুলনা সদর উপজেলার মিস্ত্রীপাড়া এলাকার কয়েক পরিবারের প্রায় ১৮-২০ জন এক সাথে দুপুরে মাজারে আসেন। বিকেলের দিকে তারা মাজার সংলাগ্ন পোষ্ট অফিসের পেছনে নারী-শিশু ও পুরুষেরা রান্না করছিল।

এসময় মাজারের খাদেম দাবি করা ব্যক্তিদের সাথে মানত হিসাবে আনা ছাগল খাদেম পরিচয় দানকারীরা জবাই করতে নিষেধ করে তাদের কাছে দিতে বলে।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। তখন তারা সেখান থেকে চলে গেলেও কিছু পরে লাঠি সোটা নিয়ে ১০/১২ জনের একদল মানত কারীদের উপর হামলা চালায়।

এতে খুলনার ওই এলাকা থেকে আসা ৪/৫টি পরিবারে প্রায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেণ।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মাজারের খাদেমরা দির্ঘ্য দিন ধরে মাজার প্রাঙ্গনে অবৈধ ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছে। ফলে তাদের কাছে জিম্মি থাকতে হয় দূর-দুরন্ত থেকে আসা ভক্ত, দর্শনার্থী ও পর্যটকদের। বিভিন্ন সময় বিদেশি পর্যটকরাও তাদের (খাদেম) জন্য হয়রানির শিকার হন।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আজম খাঁন জানান, হযরত খানজাহান (রহঃ) মাজারে মানত দিতে আসা ভক্তদের উপর হামলার খবর পেয়ে তাক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এঘটনায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here