আল-মামুন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির পোষ মেলায় সংঘর্ষের জের ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ভর্তিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানার মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয় উপজাতীয় দুস্কৃতিকারীরা।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের উপজেলা পরিষদ মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কলেজ শাখার সোহেল রানা নামক এক নেতার সাথে পিসিপির নেতাকর্মীদের পূর্বের সংঘর্ষের রেশ ধরে বাক বিতন্ডা হয়। টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে থেকে বিকাল ৪টার দিকে তাকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বিষয়টি যেনে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সির এসএম মাসুম রানা ঘটনাটি যেনে সমস্যা সমাধানের লক্ষে মোটর সাইকেল রেখে উপজেলা মাঠের পাশের দোকানে প্রবেশ করলে উপজাতীয় দুস্কৃতিকারী তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবং বিক্ষুব্দরা ইট-পাটকেল নিড়্গেপ শুরম্ন করে।

খবর পেয়ে আসা বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীর  মধ্যে বেঁধে যায় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উপজাতীয় এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে দুবৃত্তরা। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় সংঘর্ষে উভয়ের ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

পরে পুলিশ- সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিরিস্থি নিয়ন্ত্রনে আনে। ফায়ার সার্ভিস এসে মোটর সাইকেলগুলোর আগুন নেভালেও এরই মধ্যে দুটি মোটর সাইকেল সম্পূন্ন জ্বলে যায়। এ ঘটনার জন্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে এবং পিসিপি বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ একে অপরকে দায়ী করেছে।

এ ঘটনার পর পর এসএম মাসুম রানার উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিঠিল করে শাপলা চত্ত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে জড়িতদের আটকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেওয়া হয়। আটকে প্রশাসন ব্যর্থ হলে লাগাতার অবরোধ ও জেলা সদরে সকল উপজাতীয় এসএসসি পরিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষনা দেয় বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহজল ইসলাম সজল, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ। সংঘর্ষের পর সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here