ডেস্ক রিপোর্ট : : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ২ সন্তানের জননী আজমিনা (২৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশে রাখা লাকড়ির মাচার নিচ থেকে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ (জৈতাপুর) গ্রামের দিনমজুর শাহনুর মিয়ার স্ত্রী।

এ দিন সকালেই ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছেন (এ এস পি তাহিরপুর সার্কেল) বাবুল আক্তার, ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার ও বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ রাজিবুল ইসলাম। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পারিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৮ এপ্রিল) ৫ বছরের এক ছেলে, ২ বছরের এক মেয়েসহ ওই গৃহবধূ আজমিনাকে বাড়িতে রেখে স্বামী শাহনুর ও তার দেবর মিজানুর(২২) ধান কাটতে পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলা রাজাপুর গ্রামে যায়। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাতে তার ঘরে ১০ বছরের ননদ ও ছেলে মেয়েসহ ঘুমিয়ে ছিল। পরে রাত ২টার দিকে হঠাৎ নাতির কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে আজমিনার শ্বশুর আমিরুল ইসলামসহ সবাই এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে। তখন ঘরে গিয়ে নাতিকে জিজ্ঞেস করলে তার মা নেই বলে কান্নাকাটি শুরু করে।

পরে আজমিনার শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন বাড়ির আশপাশসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করার পরে বুধবার ভোরে গৃহবধূর শ্বশুর আমিরুল ইসলাম তাদের বসতঘরের পাশে লাকড়ির রাখার মাচার নিচ খড়কুটা দিয়ে ডাকা অবস্থায় দেখতে তাকে পায়। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঘটনার স্থলে গিয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূও লাশ উদ্ধার করে।

এব্যাপারে নিহত আজমিনার স্বামী জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে  গ্রামের কারো সাথে কোনো ঝগড়া ঝামেলা নাই।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূর মাথায় আর ডান গালে আঘাতের চিহ্ন ও গলায় কালো দাগ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাজনিত ঘটনা। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here