ডেস্ক রিপোর্ট : : কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে থাকা কিছু রোহিঙ্গা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অপহরণ, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এতে নিরীহ রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়রা রয়েছেন আতঙ্কে। কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ওয়ার্কওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ শেষ হলে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার হবে আশা সেনাবাহিনীর।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। দিন যতই যাচ্ছে ততোই ক্যাম্পে থাকা অনেক রোহিঙ্গা জড়িয়ে পড়ছে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্যাম্পে ঘটছে নিজেদের মধ্যে মারামারি। খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। এতে ক্ষুব্ধ খোদ ক্যাম্পের নিরীহ রোহিঙ্গারা।
ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা নানা উপায়ে পালিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে করছে নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। এতে আতঙ্কে স্থানীয়রাও।
তবে রোহিঙ্গাদের লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ওয়াকওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ চলমান রয়েছে। শেষ হলে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলে জানান ৬৫ পদাদিক ব্রিগেডের টাস্কফোর্স কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী।
চলতি বছরের ৪ মাসে টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৮টি। গত ৩ বছরে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ৪৫টি হত্যাকাণ্ডসহ মামলা হয়েছে ৫৭১টি। আর আসামির সংখ্যা এক হাজার ২৭৩ জন।