জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :: যশোরের কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকারী রাস্তার মাঝের গাছ ও সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবরুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দু‘পাড়ার শতাধিক পরিবার।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানার নের্তৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের সরদার পাড়া ও কারিকর পাড়ায় দেড়‘শ পরিবার বসবাস করেন। এ দু‘পাড়ার লোকজন পূর্ব থেকেই আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে আছাদুল ইসলাম ও মোমিনগংদের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে কেশবপুর ভায়া ত্রিমোহিনী রাস্তায় উঠে বাজার সওদা করে থাকেন। ১৫ বছর আগে আব্দুল খালেকের ছেলে আছাদুল ইসলাম জনগণের বাধা না মেনে সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। এ বিরোধ নিরসন না হওয়ায় আব্দুল মোমিনগংও রাস্তার মাঝ দিয়ে মেহগনি গাছ রোপণ করেন। ফলে গ্রামের সরদার পাড়া ও কারিকর পাড়ায় দেড়‘শ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতে ও মাঠের ফসল বাড়ি আনতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব সমস্যার কারণে মোসলেমউদ্দীন বাদি হয়ে থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলেও বিষয়টি নিরসন হয়নি।

অবশেষে ভূক্তভোগী হাবিবুর রহমান গত ৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি অভিযোগটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে ৪ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃৃৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানার নের্তৃত্বে অভিযান চালিয়ে সরকারী রাস্তার উপরের সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন দফাদার, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন দফাদার বলেন, ওই সীমানা প্রাচীর ও রাস্তার মাঝে গাছ থাকায় জনগণের চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হতো। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সালিস করেও নিরসন করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে প্রশাসন উচ্ছেদ করেছে।

সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল খালেক সরদার মাত্র ১ শতক জমির মালিক হয়েও খাস খতিয়ানভূক্ত ৪ শতক জমি জবর দখল করে তার ওপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। যা শহিদুল ইসলামগং নামজারী করে নিয়েছে। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় জনগণকে প্রায় ১ কিলোমিটার ঘুরে জাহানপুর বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার মসজিদ ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হতো। যে কারণে সীমানা প্রাচীরটি উচ্ছেদ জরুরী হয়ে পড়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here