ডেস্ক নিউজ ::নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী (৮-৯ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল বিনিয়োগ সম্মেলনে ডাচ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরা বাংলাদেশের কৃষি ও হালকা প্রকৌশল খাতে অধিকতর সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ-এর সঞ্চালনায় প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশের কৃষি খাদ্য সেক্টরে ডাচ বিনিয়োগ আকৃষ্টের বিষয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। দু’দেশের পাঁচ জন মুখ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনায় এ খাতে সম্ভাব্য ডাচ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারীরা কিভাবে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের কৃষির বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে পোল্ট্রি, ডেইরি এবং মৎস্যখাতের উন্নয়নে ডাচদের উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আলোচকবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন। আলু, টমেটো, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজি উন্নতমানের এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী শস্য বীজ সরবরাহ, শস্য আহরণ পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস, পশু খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, মাটির উর্বরতা বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়ে ডাচ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষির যান্ত্রিকীকরণ এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ খাতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ফার্মিং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি স্থানান্তরে ডাচ প্রতিষ্ঠানসমূহ সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের খাত সংশ্লিষ্ট মূখ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনায় এ খাতে সম্ভাব্য ডাচ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারীরা কিভাবে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে সেবিষয়ে আলোচনা হয়। দেশব্যাপী বিস্তৃত প্রায় ৪০ হাজার এর অধিক হালকা প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ডাচ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যক্তাগণ সহজে যুক্ত হতে পারে। দেশের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর চাহিদা বিবেচনায় ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিকস, বৈদ্যুতিক গাড়ী, বাইসাইকেল ইত্যাদি খাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাথে যুক্ত হয়ে ডাচ উদ্যোক্তাগণ তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারে।
তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন পশ্চাৎমুখী শিল্প যেমন –পানি শোধনাগার, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, প্রিণ্টিং মেশিন স্থাপনেও ডাচরা সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ইয়ার্ণ পুনঃপ্রক্রিয়াকরন, গার্মেন্টসের বর্জ্য পরিশোধন, ফ্যাশন ডিজাইন প্রভৃতি সেক্টরে ডাচ উদ্যোক্তাগণ সহজেই যুক্ত হতে পারেন মর্মে জানানো হয়।
এই বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে দুদেশের বেসরকারী খাতের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সরাসরি যোগাযোগ ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহের পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত ডাচ সরকারের শীর্ষ সংস্থা দূতাবাসের এই উদ্যোগের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংযুক্ত রয়েছে।