কৃত্রিম সূর্য আবিষ্কার!ডেস্ক নিউজ :: এ বার সূর্যকে চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজ্ঞানীরা! বানিয়ে ফেলেছেন, কৃত্রিম সূর্য’! তারা সেই ‘‘কৃত্রিম সূর্যের নাম দিয়েছেন ‘সিনলাইট’। কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ১০ হাজার সূর্যের আলোর বিকিরণ থেকে যে পরিমাণ শক্তির জন্ম হয়, ঠিক সেই পরিমাণ আলোক শক্তিই ছড়িয়ে দিতে পারবে মানুষের হাতে গড়া এই ‘সিনলাইট’। এমন দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের (ডিএলআর) তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই সেই সূর্যকে বসানো হয়েছে সেদেশের জুলিখে। ওই  প্রকল্পে জড়িত বন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষক জানান, সিনেমার প্রোজেক্টরে যে নিষ্ক্রিয় গ্যাস জেননের শর্ট-আর্ক ল্যাম্প থাকে, সেই রকম ১৪৯টি জেনন শর্ট-আর্ক ল্যাম্প দিয়ে বানানো হয়েছে ওই কৃত্রিম সূর্য।
এগুলো থেকে যে পরিমাণ শক্তি বেরিয়ে আসবে তা ১০ হাজার সূর্যের আলোর বিকিরণ শক্তির সমান। ওই কৃত্রিম সূর্য ‘সিনলাইট’ দেখতে অনেকটা মৌচাকের মতো। আকারে ৫২ ফুট চওড়া আর ৪৫ ফুট উঁচু। এই ‘সিনলাইট’ থেকে ৫ হাজার ৪৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি হয়। ইতিমধ্যে ৮ ফুট উঁচু আর ৮ ফুট চওড়া ধাতব শিটের ওপর সিনলাইটের আলো ফেলে ৩৫০ কিলোওয়াট তাপশক্তি তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু কৃত্রিম সূর্য বানানোর প্রয়োজন কেন পড়ল? বর্তমানে যে সূর্য আছে তার কি মৃত্যু আসন্ন? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আসলে তেমন কিছু নয়। দুষণমূক্ত প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন সংগ্রহ করতে সিনলাইট তৈরী করা হয়েছে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। সত্তরের দশক থেকেই রকেটে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার করতে শুরু করে নাসা।

কিন্তু শুধুই রকেটে নয়, ওই হাইড্রোজেন জ্বালানি আমাদের জনজীবনেও ব্যবহূত হলে পরিবেশদূষণ কম হবে। কারণ, হাইড্রোজেন জ্বালানি পুড়লে গ্রিনহাউস গ্যাস বেরিয়ে আসে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here