মিলন কর্মকার রাজু।

kalapara-pic-106-12-16কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগর থেকে নৌ-বাহিনীর টহলরত জাহাজ বিএনএস শহীদ মহিবুলস্না জাহাজের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা এফবি নার্গিস নামের একটি মাছধরা ট্রলারসহ ১৪ জন ডাকাত আটক করেছে। এবং ওই ট্রলারে জিম্মি করে রাখা এফবি নার্গিস ট্রলারের অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে।

এসময় ওই ট্রলারে থাকা প্রায় ১০ মন বিভিন্ন সাইজের ইলিশ জব্দ করে। আটককৃত ১৪ ডাকাতকে মঙ্গলবার দুপুরে মহিপুর থানায় হস্তান্তকরা হয়েছে।

ডাকাতরা হলেন জসিম উদ্দিন (২৮), আবু আহমেদ (৩৮), মানিক (৪৯), ইউসুফ (২০), মোরর্শেদ (২৮), আনসার হোসেন (২২), ইয়াহিয়া (৩০), আনিস (২৫), আমদাজ (২২), মিজানুর রহমান (২৮), খালেদ হোসেন (১৯), এনায়েত আলী (২২), নেছারম্নল করিম (২২) ও কাওসার (২২)। এদের সকলের বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও চকোরিয়ায়।

গত সোমবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটা থেকে আনুমানিক ২৫/৩০ মাইল পশ্চিমে গভীর সাগরে অভিযান চালিয়ে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেয় নৌ-বাহিনীর সাব লেফেন্টেট মারুফ এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

চট্রগামের সিদ্দিক কোম্পানীর এফবি নার্গিস ট্রলারে মিস্ত্রী আয়ূব আলী জানান, রোববার রাত ২টার দিকে সাগরে মাছধরারত অবস্থায় ডাকাত দল অপর একটি ট্রলারে করে এসে ৩টি কাটা বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের  ট্রলারে উঠে পড়ে এবং বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে ফেলে। তখন ওই ট্রলারে ১৮ জন জেলে ছিল। এরপর ডাকাতরা ওই ট্রলার থেকে পাথরঘাটার একটি মাছ ধরা ট্রলারে করে ১৪ জেলেকে তুলে দেয়।

ট্রলারের মাঝি কালাম, দ্বিতীয় মাঝি করিম, মিস্ত্রী আয়ূব আলী ও বাবুর্চি সফিউল কাদেরকে ট্রালারে নিয়ে ডাকাত দল তাদেরকে যে ভাবে নির্দেশনা দেয় সেই ভাবে ট্রলার চালায় এসময় ডাকাতরা কমপক্ষে ৮টি ট্রলার ডাকাতি করে এবং ডকাতির মালামাল তাদের সাথে থাকে আপর একটি ট্রলারে করে পাঠিয়ে দেয়। সোমবার শেষ বিকেলে নৌ-বাহিনীর জাহাজ ট্রলারের ডাকাতদের চ্যালেঞ্জ করে তখন তারা তাদের সাথে থাকা ৩টি কাটা বন্দুক ও দাও, ছ্যানা সাগরে ফেলে দেয়। এরপর নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ১৪ ডাকাতকে আটক করে এবং আমাদের ট্রলারের মাঝিসহ ৪ জনকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার দুপুরে ১৪ ডাকাতকে নিয়ে ট্রলারটি মৎস্য বন্দর মহিপুরে আসলে জেলেসহ হাজার হাজার মানুষ ডাকাতদের  দেখতে ভীড় জমায়। উপজেলা সিনিয়র কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ডাকাতদের মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান জানান, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here