পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনী আর ভারতীয় ফৌজের সম্মিলিত বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি৷ বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত ২২জন মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে, পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পালিত হল কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে৷
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটনান্ট কর্নেল, মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন: ‘‘৪ নম্বর সেক্টরে আমরা সিলেটের কানাইঘাট দখল করি৷ তারপর ১৬ তারিখ আমরা সিলেট শহর শত্রুমুক্ত করি৷ পাকিস্তানিদের পরাজিত করি৷”
প্রাক্তন ভারতীয় সেনাপ্রধানদের মধ্যে এদিন ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটনান্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব, যাঁর চেহারা ভারত-বাংলাদেশে সুপরিচিত৷ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেস কোর্স ময়দানে পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজি যখন আত্মসমর্পণের চুক্তিতে সই করছেন, ভারতীয় সেনা জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার ঠিক পিছনেই যিনি দাঁড়িয়ে, তিনিই লেফটনান্ট জেনারেল জ্যাকব৷ ইতিহাসের অংশ? না, সেই গৌরব কখনই দাবি করতে চান না জ্যাকব৷
বন্দুক হাতে নয়, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহসী লড়াই করেছেন শব্দসৈনিক লায়লা হাসান, বাংলাদেশের নৃত্য জগতের যিনি উজ্জ্বল এক ব্যক্তিত্ব৷
মুক্তিযুদ্ধের আর একজন শব্দসৈনিক প্রখ্যাত অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম৷ তাঁর আক্ষেপ, দেশের এই গর্বোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা সেভাবে লেখা হল কই৷
শহীদ সহযোদ্ধাদের স্মারক বেদিতে এদিন পুষ্পার্ঘ অর্পণ করলেন দুই দেশের বীর সেনানীরা৷ কলকাতা ময়দানের সকালের বাতাস ভারি হয়ে উঠল সামরিক বিউগলের লাস্ট পোস্টের সুরে৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক