আসাদুজ্জামান সাজু।

লালমনিরহাট: কর্মসৃজন প্রকল্প। কর্মহীন শ্রমজীবিদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসুচী। শ্রমজীবিদের নাম না থাকলেও ওই কর্মসুচীতে সেনা সদস্য, স্কুল শিক্ষক, ইউ-পি সদস্য-সদস্যা ও ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকেই রয়েছে। তারা অনুপস্থিত থাকলেও টাকা উত্তোলন করে ভাগা-ভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়।

জেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এ সময় মাঠে কাজ না থাকায় রাস্তা-ঘাট মেরামতের জন্য কর্মহীন শ্রমজীবিদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসুচী নিয়েছে সরকার। তালিকায় আদিতমারী উপজেলায় ১ হাজার ৭২৪ জন শ্রমিক রয়েছে। তারা প্রতিদিন মাটি কাটা বাবদ ২ শত টাকা করে মজুরী পবে।

কিন্তু, ওই তালিকা থেকে অনেক কর্মহীন শ্রমজীবিদের নাম বাদ গেলেও দেখা গেছে, ২২৭ নং কার্ড ধারী মফিজুল হক, মহিষাশ্বহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ১৫৭ নং কার্ড ধারী ইমদাদুল হক, পাকা বাড়ি গাড়ি’র মালিক চাকুরী করেন বন্দরনগরী চট্ট্রগ্রামে। ৪৬ নং কার্ড ধারী লেবু মিয়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য। ১৫৩ নং কার্ড ধারী সংরক্ষিত মহিলা সদস্যার স্বামী আব্দুল হামিজ। ২০২ নং কার্ড ধারী তোজাম্মেল হক, প্রতিষ্ঠিত সার ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যের ছেলে। ৬২ নং কার্ড ধারী মানিক মিয়া, ডিস ব্যবসা করেন।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, নাম পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তবে যারা অনুপস্থিত তারা মজুরী পাবেন না।

তবে জেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, নাম পরিবর্তনের সযোগ আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here