কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২০ শয্যার একটি ভবন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আর শহরের একটি বিদ্যালয়কে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করে যেখানে এক সঙ্গে ২‘শ মানুষকে পৃথক ভাবে রেখে চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে করোনা আতঙ্কে দোকান গুলোতে মাস্ক এর দাম বৃদ্ধি হয়েছে। ১০টার একটি মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
পাবনার সিভির সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, ৭টি দেশ থেকে যেসব প্রবাসীরা নিজ গ্রামে আসবেন তাদের প্রত্যেককে নিজি নিজ বাড়িতে আলাদা ভাবে দুই সপ্তাহ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সতর্কতকা মূলক ব্যবস্থার জন্য এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পাবনাতে বিদেশ ফেরত কারো শরীরে কোন প্রকার করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকেরা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে আলাদা করে ২০ শয্যা বিশিষ্ঠ একটি আলাদা ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
শহরের আরিফপুরে আমেনা মনসুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চারতলা ভবনকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে এক সঙ্গে ২‘শ মানুষকে পৃথক ভাবে রেখে চিকিৎসা দেয়া যাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ আলাদা কক্ষ করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসক ও চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য যা যা প্রয়োজন সকল কিছু পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
সিভির সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল আরো বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এটি একটি সাধারণ অসুখের মতই। যারা হার্টের রোগী, কিডনী দুর্বল, ফুসফুসে অসুখ সর্বপরি বয়স্ক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি রয়েছে। তবে কিশোর বা তরুনদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুকি কম বলে জানান তিনি।