বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে।মার্কিন বাংলা গণমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশের তালিকায় এখন শীর্ষ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়  বুধবার সন্ধ্যায় জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ১শ।  বিগত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৮৮৪ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  এদের মধ্যে একজন নবজাতক রয়েছে, যার বয়স ৬ সপ্তাহ।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গেছে, একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার মানুষ। সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি নিউ ইয়র্কের। সেখানে মৃতের সংখ্যা এরইমধ্যে ১ হাজার ৩শ ছাড়িয়েছে।
আমেরিকান কলেজ অব এমার্জেন্সির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম পি জ্যাকিস বলেছেন, “শহরের সব জায়গায় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা সঙ্কটজনক। আর কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে রোগী রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না। চিকিৎসার জন্য থাকবেন না ডাক্তার-নার্সরা। কী ভয়ানক সময় আসতে চলেছে সেটা বুঝতে পারছে না সরকার।”
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চলতি প্রাদুর্ভাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয়ে এসেছে। তিন মাস আগে চীনের উহানে প্রথম সংক্রমণ ঘটার পর ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস মহামারির নতুন কেন্দ্র। গত ১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে হাতেগোনা কয়েকজন হলেও এক মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, সামনে খুব কষ্টের সময় আসছে।
এদিকে, ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালি ও স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইতালি ও স্পেন দুই দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন, আর স্পেনে ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ জন।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে ৮১ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ২৩৮ জন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here