ডেস্ক নিউজ :: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৯৩ জনে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৮৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৯ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৬৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২১ লাখ ১২ হাজার ৪৪৮টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৬৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.১৩ শতাংশ।
নতুন যে ১৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ এবং নারী ৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩০৫ জন বা ৭৬.৯৭ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২৮৮ জন বা ২৩.০৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৫৭৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৭.৬৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮২ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৩১ লাখ ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ৯ হাজার ৮৫৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬২ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৬৮৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৫ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি রোগী।
