সাহায্য নিতে মানুষের ভিড়
সাহায্য নিতে মানুষের ভিড়

সাজ্জাদুর রহমান: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সরকারি সাহায্য নিতে অসহায়দের যেন ঢল নেমেছে। চাল ডাল পিয়াজ ও আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য দেওয়ার খবরে দিনমজুর কর্মহীন সবাই ছুঁটে আসেন উপজেলা প্রাঙ্গনে। এসময় সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়; দেওয়া হয় খাদ্য সহায়তা।মেঘনা নদীর ভাঙন কবলিত এই জনপদে সরকারি বরাদ্দের তুলনায় কর্মহীন ও অসহায় মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যে কারণে কমলনগরে আরও বেশি সাহায্য বরাদ্দের দাবি জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের। করোনা প্রতিরোধে দিনমজুর কর্মহীন নারী-পুরুষদের নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে চাল ডাল আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিরতণ করা হয়েছে ।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কমলনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অসহায়দের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর। বিকালে তারা ট্রাকযোগে উপজেলার হাট বাজার ও বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়েও খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও কমলনগর থানা পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন স্থানীয় কর্মহীন ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ২০০ পরিবারের জন্য প্যাকেট করলেও উপস্থিত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার ।এই প্রসঙ্গে ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, কমলনগর নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানকার অনেক পরিবার নদী ভাঙনে নিঃস্ব। করোনার প্রভাবে দিনমজুররা কর্মহীন। এমন পরিস্থিতিতে হাজার মানুষ সাহায্য প্রার্থী। কিন্তু বরাদ্দ সীমিত। এসব অসহায় মানুষদের জন্য সরকারিভাবে আরও বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে, পাটারিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, চর ফলকন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ,  সাহেবেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নিজ নিজ এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

তারাও বিতরণকালে অধিক উপস্থিতিতে হতাশ হন।কমলনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, চাল-ডাল দেওয়ার খবরে শত শত মানুষ ছুঁটে আসেন সাহায্যের জন্য। এসময় তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঠকাতে তাৎক্ষণিক মাস্ক বিরতণ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্বে মধ্যে রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের চেষ্টা করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে দিনমজুররা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যে কারণে তাদের মাঝে চাল ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিতরণ করা হয়।কমলনগর উজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, সরকারি বরাদ্দ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে ২টন করে চাল ও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে; স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে নদী ভাঙন কবলিত এ এলাকায় এই বরাদ্দ যথেষ্ট নয়; আরও বরাদ্দের প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here