মামুনুর রশীদ নোমানী, বরিশাল: বরিশালের কতিথ সাংবাদিক , ব্লাক মেইলিংকারি,ভুয়া আইনজীবী,ইয়াবা,ফেন্সিডিল,গাজা ও দেহ ব্যাবসায়ী এস,এম রফিকের বিরুদ্ধে মঙ্গল বার বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে এক ব্যাবসায়ী চাদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে । বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন । মামলার বাদী ফজলুল করিম ফারুক জানান,ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রানা পাশা ইউনিয়নের তেতুল বাড়িয়া গ্রামের শিকদার বাড়িরুস্তুম শিকদারের পুত্রএস.এম রফিকুল ইসলাম। বাবা এক সময়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের দালালী করতো। বর্তমানে মুদি ব্যবসায়ের অন্তরালে মাদক বানিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদক বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বরিশাল নগরীর চানমারী এলাকায় বসবাস করে। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে সে বরিশাল মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নেরও দালাল চক্রের হোতা। রফিক যে মাহেন্দ্র থেকে দেদারসে চাঁদাবাজী করে আসছে এ বিষয়টি অনেকেই অবহিত। নগরীর কয়েকটি হোটেলে সে দেহপসরানী ব্যবসা করে আসছে।
বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডসহ অপরাধ জগতে বিচরন করতে থাকেন রফিকুল। তার নিরব চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে অনেক নারী – পুরুষ। চাঁদার টাকা না দিলেই সেই নারী – পুরুষদের বিরুদ্ধে চরিত্রহরন করে। তথ্য সন্ত্রাস! তথ্য সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত যুবকের লাগাম টেনে না ধরাটাও রহস্যজনক। কিভাবে কোন অদৃশ্য ক্ষমতায় বরিশালের নারী – পুরুষদের চরিত্রহরন করে এখনও দাপটে নগর চষে বেড়াচ্ছিল । ১২তম বরিশাল আন্তর্জাতিক বানিজ্যে মেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছিলেন, কেউ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। বরিশালের তথা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই হবে। কেউ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁর বক্তব্য , আমি এখানে সেবা করতে এসেছি,শাসন করতে আসেনি। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। এখন আমি কর্মস্থল সূত্রে বরিশাল আছি। আর নিজেকে বরিশাল জন্মস্থান কিংবা বরিশালের সন্তান হিসেবেই মনে করি।এদিকে, রফিকের অপপ্রচারের মূখ্য টার্গেট ছিল চাঁদাবাজি। বরিশাল নগরী ও জেলা পেরিয়ে পুরো বিভাগের বিভিন্ন স্থানের স্বনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো নিত্য নৈমিত্তিক স্বভাবে পরিণত হয়েছে। টাকা আর টাকা। টাকা না দিলেই জনপ্রিয় ব্যক্তিবগের্র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর চাঁদার টাকার একটি অংশ নাকি যাচ্ছে বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করা হচ্ছে তার জন্য। এ তথ্য একাধিক সূত্রের।এস এম রফিক সুরভী -৮ লঞ্চে আবুলের স্ত্রীসহ আটক হয় । পরে আনসার সদস্যদের হাত পা ধরে মুক্ত হয়। সাগরদী ব্রাঞ্চ রোডে এক নারীকে সহ রফিককে আটক করে স্থানীয় লোকজন । তারা রফিক কে গনধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয় ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক শফিকুল আলম গুলজার’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। তাঁর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছিলেন এস,এম রফিক। তার চাঁদার টাকা না দেয়ার পরই রফিক চালায় অপপ্রচার। সমাজ সেবক শফিকুল আলম গুলজার একাধিকবার বিসিসির কাউন্সিলর ছিলেন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মাঝে তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। দক্ষিণের জনপদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসী সাংবাদিক লিটন বাশার। তিনি ক্ষুরধার লেখনী শক্তির অধিকারী। যার লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সমস্য। পাশাপাশি নানা দুর্নীতি অনিয়মের চিত্র ফুটিয়ে তুলেন। যাতে ধরকম্প শুরু হয়ে যায় দুর্নীতিবাজদের। যিনি তথ্যনুসন্ধানী সংবাদ সংগ্রহে দক্ষিণাঞ্চলে সকল জেলা,উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায়ও পা ফেলছেন। এমনকি জীবন উৎসগের্র শপথে বলীয়ান হয়ে গভীর সাগরেও পা ফেলছেন অনুসন্ধানী সংবাদ সংগ্রহে। একাধিকবার ঐতিহ্যবাহী বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বরিশাল অফিস প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। এখানকার আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক ভোরের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদ’রও দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে কলাম লিখছেন। বরিশালের পপুলার সাংবাদিক লিটন বাশার’র বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়েছে নাশকতাকারী এস,এম রফিক। বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক ও বরিশাল – পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে রফিক। যাতে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সহসাই করে পার পেয়ে যেতে পারে নাশকতাকারী রফিক। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আজিজুর রহমান শাহীন বলেন, এস,এম রফিক নামের যুবক যেসব অপপ্রচার করছে তা স্রেফ দেশবিরোধী। কারণ আমি জাতির জনকের আদশের্র রাজনীতি করে আসছি,সকল প্রকার নাশকতার বিরুদ্ধে অগ্রনী ভূমিকায় রয়েছি। হয়তবা সে আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে কোন মহল থেকে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটছে। রফিকের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নাশকতা রফিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বিসিসির কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম একজন স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নগরীতে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে রফিক। বিসিসির প্যানেল মেয়র একে,এম শহিদুল্লাহও স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেশ পরিচিত। জনমনে প্রশংসিত। সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পূক্ত। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ’র সহধর্মীনি ও সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেচ্ছা আফরোজের সঙ্গে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যান কেএম শহিদুল্লাহ। বিস্ময়কর হলেও সত্যি রফিকের নাশকতা বাস্তবায়নে সরকার দলীয় সাংসদ জেবুন্নেচ্ছা আফরোজ’র সঙ্গে কেন অনুষ্ঠানে গেলেন প্যানেল মেয়র’র এ বিষয়টি নিয়েও অপপ্রচার চালিয়েছে। যা নগরীতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি অনেকেই বলছেন, কে এই এস,এম রফিক? অপপ্রচারকারী নাশকতাকারী হিসেবে আখ্যায়িত রফিকের রিমান্ডে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। পাশাপাশি রফিকের সাঙ্গপাঙ্গদেরও লাগাম টেনে ধরার দাবী জানিয়েছেন। বরিশাল বগুড়া রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও ফা্লইট সার্জেন্ট ফজলুল হক’র ভাই আ’লীগ নেতা দুলাল’র বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়েছে এই রফিক।মাহমুদুল হক খান মামুন ক্লীন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে পুরো বরিশাল বিভাগে পরিচিত। স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। যিনি বিএম কলেজ থেকে ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বিশিষ্ট সমাজ সেবক। এক সময়ের তুখোর ছাত্র নেতা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি সহায়তায় অবদান রেখেছেন,রেখে চলছেন। ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ মাহমুদুল হক খান’র বিরুদ্ধে আজগুবি অপপ্রচার চালিয়েছে রফিক। এরকম অসংখ্য ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এস,এম রফিকের মিশন নাশকতার আগুন দক্ষিণের জনপদে ছড়িয়ে দেয়া। নাশকতার আগুনের হোতা রফিক অর্থ সংগ্রহের কৌশল হিসেবে প্রগতিশীল মনাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বরিশালের সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে জোর আকুতি জানিয়েছেন তাদের সম্মান নিয়ে বেচে থাকার জন্য ।
রফিক কে ২ মে দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ইয়াবা বিক্রি কালে বরিশালের চৌকশ ডিবি পুলিশ টাউন হল এলাকা থেকে আটক করেছিল ।