বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে থ্যাংকস গিভিং ডে’তে এবারওদুই টার্কির প্রাণ বাঁচালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
হোয়াইট হাউসে উপস্থিত লোকজনদের সামনে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে প্রতীকী ক্ষমা ঘোষণা করে ম্যাক এবং চিজ নামের দুই টার্কিকে রেহাই দেন ওবামা। প্রতিবছরই ওবামা এভাবেই টার্কির প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে আসছেন। প্রেসিডেন্টদের টার্কিকে রেহাই দেয়ার এমন রীতিও চলে আসছে ১৮শ’র দশক থেকে।
এ সময় রসিকতা করে তিনি বলেন, নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ মাসে তিনি অভিবাসনের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন টার্কি দুইটিকে বাঁচানোর এ পদক্ষেপেও তার ওই নির্বাহী ক্ষমতার বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে আসবে।থ্যাংক্সগিভিং ডে উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে হোয়াইট হাউসে সরবরাহ করা হয় টার্কি।
গত বৃহস্পতিবার ধুমধাম করে পালিত থ্যাংকস গিভিং ডে বা ধন্যবাদ দিবসের সবচে বড় আকর্ষণই ছিল টার্কির ডিশ।আমেরিকায় প্রতিবছর নভেম্বরের চতুর্থ পরিবারের আপনজনদের সঙ্গে দাওয়াত করা অতিথিরা সবাই মিলে চলে টার্কির রোস্টের স্বাদ নেওয়া। ১৯৬২ সালে জন এফ কেনেডি প্রথম টার্কিকে প্রাণে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন বলে শোনা যায়। পরে রোনাল্ড রিগান ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টার্কির প্রাণভিক্ষার পদ্ধতি চালু করেন। তারও পরে জর্জ এইচ.ডব্লিউ বুশ এসে চালু করেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে টার্কির প্রাণ বাঁচানোর রীতি।২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে জনগণের ভোটে জেতা টার্কিকে প্রেসিডেন্টের রেহাই দেয়ার রীতি।
এবারের ভোটে ৪৯ পাউন্ড ওজনের চিজের কাছে হেরে যায় ৪৭ পাউন্ডের ম্যাক। কিন্তু চিজ জিতলেও প্রথা অনুযায়ী ম্যাককেও রেহাই দেন ওবামা।টার্কি দুটিকে এখন তাদের জীবনের বাকীদিন কাটানোর জন্য পাঠানো হবে ভার্জিনিয়ার টার্কি খামারে।থ্যাঙ্ক গিভিং ডে উৎসবের সূচনা হয় ১৬২১ সালের আগস্টে। ধর্ম প্রচারকরা প্রথমবারের মতো স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এ দিবস পালন শুরু করে।
থ্যাংকস গিভিং ডে‘র পরের দিনকে ‘ব্লাক ফ্রাইডে‘ বলা হয়ে থাকে। এদিনের জন্যও মানুষের অপেক্ষার কমতি নেই। এক বছর ধরেই অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে আমেরিকার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষজন কম দামে ভাল একটা কিছু কেনার জন্য দিনটির অপেক্ষায় থাকে। প্রায় দুইসপ্তাহ আগে থেকেই টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের পণ্যের মুল্যহ্রাসের তালিকা।