weight-lossইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: শরীরের ওজন যদি একবার বেড়ে যায় তাহলে তা কমানো অনেকের জন্যই বেশ কঠিন। আর এক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা সমস্যা তৈরি করে। এ লেখায় থাকছে তেমন চারটি বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. ভুল ১ : কার্বহাইড্রেট বাদ দিন, ওজন কমবে
বাস্তবতা হলো শরীরের ওজন কমানোর জন্য আপনার প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য আপনার দেহের এনার্জি প্রয়োজন। আর এ এনার্জি ছাড়া আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন। এতে সহজেই আপনার অসুস্থ হয়ে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। দেহের ওজন কমানোর জন্য সুস্থ থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে কার্বহাইড্রেট বাদ দিলে তাতে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।
২. ভুল ২ : মাঝারি শারীরিক পরিশ্রম উচ্চমাত্রার তুলনায় বেশি কার্যকর।
মাঝারি শারীরিক পরিশ্রম ও উচ্চমাত্রার কঠোর শারীরিক পরিশ্রম উভয়ই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের কাজ করে বলে মনে করা হয়। আর তাই কঠোর পরিশ্রম করার বদলে অনেকেই মাঝারি মাত্রার পরিশ্রম করতে বলেন। বাস্তবে বিষয়টি কিছুটা জটিল। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের সময়ই শুধু ক্যালরি ব্যয় হয় না, মাত্রাভেদে তা সারাদিনই দেহে কাজ করে। উচ্চমাত্রার শারীরিক পরিশ্রম তাই বেশি কার্যকর হয়।
ভুল ৩ : দৈনিক ৫০০ ক্যালরি কমিয়ে সপ্তাহে এক পাউন্ড ওজন কমান
মানুষের দেহ অংকের হিসাবে চলে না। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে দেহের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাভেদে তা ব্যয় করার মাত্রাতেও পরিবর্তন আসে। ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দিলে মানুষের দেহও ‘সারভাইভাল মোড’-এ চলে যায়। ফলে বিপাক ক্রিয়া কমে গিয়ে ক্যালরি সংরক্ষিত হয়। তাই দৈনিক খাবার থেকে ৩০০ ক্যালরি কমিয়ে দেওয়া অনেক সময় ৫০০ ক্যালরি কমানোর তুলনায় ভালো কাজ করে।
ভুল ৪ : সন্ধ্যা ছয়টার পর খাওয়া বন্ধ করে ওজন কমান।
খাবার যে সময়েই খাওয়া হোক না কেন, তাতে থাকা ক্যালরির মাত্রায় তারতম্য হয় না। ফলে আপনি যদি সন্ধ্যার পর থেকে খাওয়া বন্ধ করে দেন কিন্তু তার আগেই বেশি করে খাবার খেয়ে নেন তাহলে তা ওজন কমাতে সহায়ক হবে না। এ ছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ক্ষুধার্ত থাকলে তা হরমোনজনিত কিছু পরিবর্তন আনে। ফলে দিনের বেলায় তা আপনার ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here