ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::
এলাচকে বলা হয় মসলার রানী। এলাচ সুগন্ধিযুক্ত একটি মসলা। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এই এলাচ। ভারতীয় বা এশিয়ার রান্নায় যে গরম মসলা ব্যবহার করা হয়, তার একটা প্রধান ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো এলাচ। এমনকি চা তৈরিতেও এলাচ ব্যবহার শুরু হয়েছে।
যে কোনো রান্না, এমনকি পায়েস বা মিষ্টিতেও এলাচ দিলে তার স্বাদই বদলে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন এলাচ কেবল রান্নায় স্বাদ ও গন্ধই যোগ করে না, এলাচের আরও অনেক আশ্চর্য গুণও আছে যা আমাদের অজানা। এলাচে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য পরিপোষক ভিটামিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট মজুত রয়েছে।
>>নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, ভিটামিন এ সি ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি আছে এলাচে। খাবার পর এলাচ খেলে তা গ্যাসের সম্ভাবনাকে কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটে প্রদাহ, বমি বমি ভাব দূর করতেও এলাচের জুড়ি নেই। এছাড়া এলাচ আমাদের মিউকাস মেমব্রেনকে আরাম দেয়।
>>ফলে অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের প্রবণতা হ্রাস পায়। একটি এলাচ থেঁতো করে এক কাপ হালকা গরম পানিতে গুলিয়ে প্রতিদিন খাবেন। এর ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। এছাড়া ক্ষুধা বাড়াতেও এলাচের জুড়ি নেই।
>>এলাচ যে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এটা আমরা সবাই প্রায় জানি। এলাচের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি থাকায় তা মুখের মধ্যেকার ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে ও দুর্গন্ধ নাশ করে। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার ফলে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এলাচ হজমের গোলমাল তো কমায়ই, এছাড়া কাঁচা এলাচ খেলে বা এলাচ দিয়ে চা তৈরি করে খেলে এই সমস্যা দূর হবে।
>>এলাচে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের হার্টবিটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপকেও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তবাহে রক্ত চলাচলও ঠিক রাখে এই এলাচ। মেয়েদের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা। নানা কারণে মেয়েরা কম বয়স থেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন।
>>এলাচে প্রচুর পরিমাণে লোহা মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট হিসেবে মজুত থাকে, যা এক্ষেত্রে উপকারী। এলাচ কিন্তু টনিক ও উত্তেজক স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়ম করে এলাচ খাওয়া শরীরকে শক্তিশালী তো করেই, তাছাড়া বন্ধ্যত্ব, যৌন জীবনে অনীহা ইত্যাদির ওষুধ হিসেবেও এলাচ কাজ করে। সর্দি-কাশি হলে আপনি এলাচ বা এলাচ দেয়া চা খেতে পারেন।দেখবেন উপকার পাচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিত এলাচ খেলে তা সর্দি-কাশির ধাতকে কমায় ও মাথা ধরা কমাতেও সাহায্য করে। এলাচ যেহেতু শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে, তাই আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতেও এলাচ কাজ করে। এলাচের এই বিপুল উপকারিতার জন্য আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন ওষুধের অন্যতম উপাদান হিসেবে এলাচ ব্যবহার করা হয়।