ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাজধানীর রামপুরায় মায়ের হাতে দুই শিশু সন্তান হত্যার রেশ না কাটতে এবার কিশোরগঞ্জ সদরে মাহাথির মোহাম্মদ নামে দেড় বছরের ছেলেকে গলা কেটে তার মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পেয়ারাভাঙ্গা গ্রামে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর মাকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, সালমা আক্তার বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় স্বামীর সংসারে বসবাস করছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পেয়ারাভাঙ্গা গ্রামে চলে আসেন সালমা।
শনিবার সকালে ছেলে মাহাথির ঘরের মেঝেতে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ পড়ে গিয়ে সে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে মা ঘরে ঢুকে বেড়ায় থাকা ছুরি নিয়ে সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে।
এ সময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মাহাথিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে এবং ছুরিসহ সালমাকে আটক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মা সালমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্রীর ৪ নাম্বার রোডের ৯ নাম্বার বাসায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান অরণি (১৪) ও হলিক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারির ছাত্র আলভী আমানের (৬) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্তে দুই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পান চিকিৎসকরা। এদিকে বৃহস্পতিবার মাহফুজা মালেক জেসমিন ছেলেমেয়ে হত্যার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানায় র্যাব।