স্টাফ রিপোর্টার :: পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, এনজিও হচ্ছে দেশের উন্নয়নে সরকারের সহায়ক শক্তি। সরকার এনজিও বান্ধব। তবে মনে রাখতে হবে, সরকারের সব কার্যক্রম দেশ ও জনগণের স্বার্থের জন্যই। কাজেই কোনো নিয়মকে বেড়াজাল ভাবলে চলবে না। এমআরএ হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে এনজিওদের অভিভাবক সংস্থা। তারা শুধু রেগুলেটর নয়, ফ্যাসিলিটেটরও। এনজিওদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করা হবে।

শনিবার চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) আয়োজিত ‘আর্থিক অন্তর্ভূক্তি তথা টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, সিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল প্রমুখ। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএম এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বেসরকারি সংস্থা মমতা’র নির্বাহী পরিচালক রফিক আহামদ, ব্যুরো বাংলাদেশ এর পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, অন্তর সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা মো. এমরানুল হক চৌধুরী, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এর নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম, ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, আইডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, ঘাসফুল এর নির্বাহী পরিচালক আফতাবুর রহমান জাফরী প্রমুখ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশকে ঋণ দিতে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে। বিলয়নস অব ডলার ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ আরও অনেকে। দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে। প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেবো। আবার সময়মতো পরিশোধও করবো।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সরকারের আন্ত্মরিকতা আর জনসাধারণের কার্যকর অংশগ্রহণে এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসডিজি অর্জনে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে বেসরকারি সংস্থাসমূহ কাজ করছে। মূল প্রবন্ধের আলোচনায় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের প্রদত্ত সেবার ওপর আদায়কৃত সার্ভিস চার্জ বর্তমানের ২৪ শতাংশ থেকে বাড়ানোর দাবি জানান।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here