স্টাফ রিপোর্টার :: করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে জীবিকার ঝুঁকিতে পড়া এক লাখ দরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এ জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সংস্থাটি। মহানগর ও নগর এলাকার বস্তি, উপশহর এলাকা এবং দুর্গম অঞ্চলের পরিবারগুলোকে এ সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।

সংস্থার চারটি উন্নয়ন কর্মসূচি আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, আলট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম, সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি এবং হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্‌ বলেন, ‘কভিড-১৯ এমন এক মানবিক সংকট, যার একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অর্থনীতিতে এই সংকটের মারাত্মক প্রভাবও বিদ্যমান। বিশ্ব ব্যাংকের উপাত্ত অনুযায়ী, দেশের মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ দিনে ৫০০ টাকার বেশি উপার্জন করেন। অধিকাংশ গ্রামের মানুষ শহর ও বিদেশ থেকে স্বজনদের পাঠানো অর্থের ওপর নির্ভর করেন। এটি বৈশ্বিক সংকট হওয়ায় সারা পৃথিবীতে মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। এর ফলে আয় বন্ধ হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে আয়ের উৎস হারানো পরিবারগুলোই ব্র্যাকের লক্ষ্য। পর্যায়ক্রমে সহায়তা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে।

জানা গেছে, ব্র্যাকের এই সহায়তা চার সদস্যের একটি পরিবারকে দুই সপ্তাহের জন্য নূ্যনতম খাদ্য উপকরণ কিনতে সাহায্য করবে। ১২টি সিটি করপোরেশন, ৮টি পৌরসভা, ৩৮টি সদর উপজেলা, হাওর, নদীবন্দর এবং হাট-বাজার এলাকা এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের পাড়াগুলোতে বসবাসকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো এ সহায়তা পাবে।

ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি) ১২টি সিটি করপোরেশন ও ৮টি পৌরসভা এলাকার ৬১ হাজার পরিবারকে সহায়তা পৌঁছে দেবে। আলট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি ৩৮টি সদর উপজেলায় হকার, রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, গৃহকর্মীদের ১৬ হাজার পরিবারকে এই সহায়তা দেবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here