ঢাকা : চলতি ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চের শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এ সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রথম পর্যায়ের ১০২টির তফসিল ঘোষণার একদিন পর সোমবার শেরেবাংলা নগরে নিজের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের একথা জানান।

১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রোববার প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ।

১০২টি উপজেলার পর দেশের ৪৮৭ উপজেলার বাকিগুলোতে ধাপে ধাপে ভোট করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে শিক্ষার্থীদের ‘ডিস্টার্ব’ না করেই পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ভোটের তারিখ রাখতে কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাচনের তারিখ রাখছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই মেয়াদ শেষের আগে ভোট করতে হচ্ছে। যেসব উপজেলার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আমরা প্রথম দফায় তাদের তফসিল দিয়েছি। দুই-চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার তফসিল দেয়া হবে।

তিনি জানান, দ্বিতীয় দফা তফসিলে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া শতাধিক উপজেলা পরিষদ অন্তর্ভুক্ত থাকছে। এদের ভোটের তারিখ ২৭/২৮ ফেব্রুয়ারি বা ১-২ মার্চ এর মধ্যে নির্ধারণ করা হবে।

কমিশনার বলেন, “পরের ধাপটির ভোট মার্চের তৃতীয় সপ্তায় হবে। যথাসময়ে ওইসব উপজেলারও তফসিল করা হবে।সবশেষ ২০০৯ সালে একদিনে সব উপজেলার ভোট হয়। এবার চতুর্থ উপজেলা পরিষদে স্থানীয় সরকারের প্রায় ১৫শ’ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। ভোট নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ার‌ম্যান।

শপথ নেওয়ার পর উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিতদের মেয়াদ থাকবে। মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের।

ছয় ধাপে শেষ করতে চায় ইসি

ভোটের সময়সূচির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে তা মঙ্গলবারের মধ্যে পাঠানোর কথা বলেছে ইসি।

সোমবার একজন নির্বাচন কমিশনার এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মে’র মধ্যে ছয়টি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামতও চাওয়া হয়েছে।

প্রথম দফা ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে ১৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের মতামতও নেয় ইসি। এরই সূত্র ধরে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতামত শিক্ষা সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী ভোটের সম্ভাব্য সময়সূচিও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এসএসসি ও এইচএসচি পরীক্ষার সূচি মেনে ইসির সম্ভাব্য তারিখের বিষয়ে মতামত চেয়ে শিক্ষা সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২১ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে মতামত ফ্যাক্সে বা ডাকযোগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এপ্রিল মাসে কোনো ভোট না করার পরামর্শ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফার ভোট, ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা, ২৫ মার্চ চতুর্থ দফা, ৩১ মার্চ পঞ্চম দফা ও  ৩ মে ষষ্ঠ বা শেষ ধাপের ভোটের সময়সূচি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দেশের ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১০২টি, দ্বিতীয় ধাপে ১১৭টি, তৃতীয় ধাপে ৬৯টি, চতুর্থ ধাপে ৭২টি, পঞ্চম ধাপে ৬৫টি এবং শেষধাপে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বাকি উপজেলাগুলো রয়েছে।

এর মধ্যে তারাকান্দা [২০১৮ সালের নভেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ] ছাড়া ৪৮৬ উপজেলার মেয়াদ শেষ হবে এবছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here