মিলন কর্মকার রাজু কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :: উদ্ধোধনের আগেই ধ্বসে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়াঠ কুয়াকাটায় নির্মানাধীন সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের সীমানা প্রাচীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ষ্টেশনের পশ্চিম দিকের প্রায় তিনশ ফুট সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে। এতে কেউ আহত না হলেও দেশের দ্বিতীয় এ সাবমেরিন কেবল ষ্টেশনের নির্মান কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানাযায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ প্রথম ধাপে ১০ একর জমিতে বালু ভরাট করে এক হাজার ৭২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও এক হাজার ১২০ ফুট প্রসস্থ্য সীমানা প্রাচীর নির্মান করে। দ্বিতীয় ধাপে ল্যান্ডিং ষ্টেশনের মূল ভবন, প্রধান ফটক ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। আগামী নবেম্বর মাসে সাবমেরিন কোম্পানীর কাছে এটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে। কিন্তু হস্তান্তরের এক মাস আগে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ায় গোটা ভবনের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমিতে পরিকল্পনা ছাড়া এই সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের কাজ শুরু হয়। ল্যান্ডিং ষ্টেশনের চারিদিকে ফসলি জমি। প্রচন্ড বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। এই ক্ষেতের পানি যাতে সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনে ঢুকে না পড়ে এ জন্য কোন প্রটেকশন বাঁধ না থাকায় পানির চাপে ভেঙ্গে পড়ে সীমানা প্রাচীর।
কে কে এন্টার প্রাইজের প্রকল্প প্রকৌশলী মো. ইমরান সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্প এলাকার চারিদিকে দশ ফুট পাকা রাস্তা সহ ড্রেনেজ নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটছে।
কে কে এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কবির হোসেন বলেন, ল্যান্ডিং ষ্টেশনের মূল ভবনের কাজ শুরুর আগে সীমানা প্রাচীর করা হয়েছে। ভবনের কাজ শেষ করে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান করতেন। কিন্তু আকস্মিক দেয়াল ধ্বসে পড়ে। পানির চাপের কারনে দেয়াল ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পারভেজ মনন আশরাফ জানান, তিনি এই প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে উর্ধ্বন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
সাবমেরিন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন জানান , বৃষ্টিতে কিভাবে সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রকল্পের কাজে কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।