কায়রোর পরিস্থিতি এখনো বেশ উত্তপ্ত৷ আজ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেছে তিন জন৷ তবে এসবের পেছনে রয়েছে বুধবারের ফুটবল খেলা৷ সেই খেলার শেষে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তাতে ৭৪ জন মারা যায়৷

 আজকে আবার নতুন করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ সবকিছুর শুরু হল বুধবারের ফুটবল খেলা৷ সেই খেলার শেষে সংঘর্ষে ৭৪ জন মারা গেছে বলে আমরা জানি৷ আজ একটি ব়্যালির আয়োজন করা হয় কায়রো এবং সুয়েজ শহরে৷ সেসব ব়্যালিতে যারা অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তাতে তিন জন মারা যায়৷ ব়্যালিতে যারা অংশগ্রহণ করেছিল, তারা ফুটবলের মাঠে সংঘর্ষের প্রতিবাদ করছিল৷ কায়রোতে তিনদিনের জন্য শোকদিবস পালন করা হচ্ছে৷ সেটা শেষ না হতেই শুরু হল আরেকটি সংঘর্ষ৷

রাজধানি কায়রোতে মারা গিয়েছে একজন এবং সুয়েজ শহরে মারা গিয়েছে দু’জন৷ এবং সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় একহাজার সাতশোজন৷ তবে আজ আরো কয়েকটি শহরে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে৷

বৃহষ্পতিবার বেশ কিছু আন্দোলনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয়৷ তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ আরো অনেকেই জড়ো হয়েছিল তাহরির স্কোয়ারের সামনে৷ পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ফুটবলের মাঠের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি৷ আর তার প্রতিবাদেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বিক্ষোভ৷ রায়ট পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে৷ তখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উদ্দেশ্যে ইঁট-পাথর ছুঁড়ে মারে৷ 

এসব আন্দোলনকারীরা আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে৷ দাবি জানিয়ে আসছে যাতে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়৷ আগামী জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা৷ দেশের সর্বোচ্চ কাউন্সিল তা জানিয়েছে৷ তবে অনেকেই মনে করছে যে, বুধবার ফুটবলের মাঠে যে সংঘর্ষ বেধেছে তার পেছনে সেনাবাহিনী রয়েছে৷ দেশের নিরাপত্তার অবস্থা ভাল না – এই অজুহাতে সেনাবাহিনী এবার আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে৷

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তজাতিক ডেস্ক

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here