স্টাফ রিপোর্টার :: দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তি প্রত্যাহারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।
আজ সোমবার (৬ মার্চ) সকালে ধানমন্ডিস্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসভবনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে বৈঠকে তারা এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ সময় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, রোগীদের ভোগান্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সারাদেশের হাসপাতালগুলোর রোগীদের কথা বিবেচনা করে, তাদের অপরাধ ক্ষমা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে ফিরেছেন, তাদের স্বাগত জানাই।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শজিমেকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে ও ২ মেয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিছু বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে প্রহৃত হন। ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর স্বজনের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে ৩-সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ৩ সদস্যের কমিটি শজিমেকে যায়। উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের আলোকে শজিমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এম এ আল মামুন, ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ২ মার্চ বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত শাস্তির বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের ১৩০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেন। এরপর শনিবার ৪ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলোর ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও আন্দোলনে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।