tribunal-idris-1একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শরীয়তপুরের ইদ্রিস আলী সরদারের (৬৭) ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।

৪৮৬ পৃষ্ঠার রায়ে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ৪টি অভিযোগই প্রমাণীত হয়। এর মধ্যে দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর একটি৬ অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অপর অভিযোগে ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মামলা দায়েরের পর থেকেই ইদ্রিস আলী পলাতক রয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ইদ্রিস আলী ছাড়া সোলয়মান মোল্লা নামে আরও এক আসামি ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন সোলায়মান মোল্লা আটক অবস্থায় মারা যান। তাই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর শরীয়তপুরের সোলায়মান মোল্লা (৮৪) ও ইদ্রিস আলী সরদার (৬৭) বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২৯ অক্টোবর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো চারটি অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিরা শরীয়ত জেলার পালং থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর মুসলিম পাড়ার অধিবাসী। তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান মোল্লা ১৯৬৩ সালের পর মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আর গাজী ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১৯৬৯ সালে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘের’ নেতা ছিলেন অভিযোগ আনা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here