আবু সাঈদ অপু , স্টাফ রিপোর্টার , নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ফিরে ::
তিনটি ইটভাটা মালিক প্রভাব খাঁটিয়ে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলী জমির পাশে ইটভাটা’র কর্মযজ্ঞে’র চলাচ্ছেন বেপরোয়াভাবে। এই তিনটি ইটভাটা’র কালো ধোয়া’র বিষাক্ত গ্যাসে দেড়শতাধিক কৃষকের উঠতি সোনালী বর্ণের বোরো ফসলের ক্ষেত ঝলসে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারে চলছে আগামী দিনগুলো তারা কিভাবে খাদ্য সংকট মোকাবেলা করবে ; সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নীলফামারী’র সৈয়দপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আমাদের স্টাফ রিপোর্টার আবু সাঈদ অপুকে বলেন, জেলার সৈয়দপুর উপজেলা’র বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে মনসুর আলী, আনিচুর রহমান ও পিরোজ আহম্মেদ মুসা একটি করে তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন।
এই তিনটি ইটভাটা’র কর্মষজ্ঞে’র শেষ পর্যায়ে নির্গত কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে প্রায় দেড়শতাধিক কৃষকের ফসল নষ্টের অভিযোগ সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিম হোসাইন বরাবর করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ মে সরেজমিনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আর এই তদন্ত কমিটির আহবায়ক আমাকে করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, তিনটি অবৈধ ইটভাটা’র কর্মযজ্ঞে আশপাশের তিন ফসলি শত-শত হেক্টর জমি’র মালিকরা ভাটার কালো-ধোয়া’র বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে ফসলহানী’র ঘটনা প্রতিবছর ঘটে। এই তিনটি ইটভাটার মালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উপজেলা-জেলা প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও এর কোন প্রতিকার না পেয়ে নিরবে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
তাই দেড়শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এক জোট হয়ে প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের দলনেতা মতিউর রহমান বলেন, ইটভাটার কারণে উঠতি ফসল বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওযায় আগামী দিন গুলো কি ? ভাবে তারা খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করবে, সে চিন্তা কুঁড়ে-কুঁড়ে খাচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দীক বলছেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হাতে পেলেই বিধিবিধান অনুযায়ী নেয়া হবে ব্যবস্থা। এছাড়াও নীমিমালা অনুসরন করে ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরন নিয়ে তা বন্ঠন করা হবে – ক্ষতিগ্রস্থদের।
তিনফসলি জমির পাশে ইটভাটা কর্মযজ্ঞের অনুমতি পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে কিভাবে পেল ? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।