স্টাফ রিপোর্টার :: ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। বুধবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যান চলাচল ও পার্কিং সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
টঙ্গীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে। শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত ও তাদের বহনকারী যান চলাচলের সুবিধার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দেশনা: রেইনবো ক্রসিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তায় ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা তাদের যানবাহন নিচের উল্লেখিত স্থানে বিভাগ অনুযায়ী পার্কিং করবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের গাড়ি রাখা যাবে গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নম্বর সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড)। ঢাকা বিভাগের গাড়ি থাকবে সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত। সিলেট বিভাগের গাড়ি পার্কিং করতে হবে উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টর খালপাড় থেকে দিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত। খুলনা বিভাগের গাড়ি থাকবে উত্তরার ১৭ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ)। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ি পার্কিং করার স্থান প্রত্যাশা হাউজিং এলাকা। বরিশাল বিভাগের গাড়ি থাকবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। ঢাকা মহানগরের গাড়ি থাকবে উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ ২-এর আশপাশের খালি জায়গায়।
নির্ধারিত পার্কিংয়ের স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডাইভারশন সংক্রান্ত নির্দেশনা: ডাইভারশন পয়েন্টগুলো (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন- ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে) মহাখালী ক্রসিং, হোটেল র্যাডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের প্রবেশমুখ।
ডাইভারশন চলাকালীন আশুলিয়া থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহন আবদুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আবদুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোকে হোটেল র্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন দেওয়া হবে। উল্লিখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো। কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিগুলোকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন দেওয়া হবে।
প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ ২-এ ডাইভারশন দেওয়া হবে।
আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) বিমান অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে। বিমানের অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব যানবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক এড়িয়ে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ থেকে বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২টি মিনিবাস ও ২টি মাইক্রোবাস বিনামূল্যে পরিবহন সেবার জন্য নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে থাকবে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) বা টিআইর (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৯১২-০২৫৯৩৯) নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।