ডেস্ক রিপোর্ট:: ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতে শুভসূচনা হয়েছে ফ্রান্সের। ওয়েলসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোল তিনটি করেছেন এমব্যাপ্পে, গ্রিজম্যান ও ডেম্বেলে। এ নিয়ে সবশেষ ২৪ ম্যাচের ১৮টিতে জয় পেলো ফরাসিরা। অন্যদিকে, টানা নবম অ্যাওয়ে ম্যাচ হারলো গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।

ক্লাব মৌসুম শেষ। তাতেও কি বিশ্রামের সুযোগ আছে! ক’দিন বাদেই যে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ক্লাবের দ্বৈরথ ভুলে এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতীয় দলকে এগিয়ে নেবার লড়াই ফুটবলারদের।

আসর শুরুর আগে টিম কম্বিনেশন আর পরিকল্পনা সাজাতে এই প্রীতি ম্যাচগুলোই মহা গুরুত্বপূর্ণ কোচদের কাছে। সেটা বুঝেই কি না, এখানেও সিরিয়াস দিদিয়ের দেশমের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছাত্ররা।

উজ্জীবিত ছিল গ্যারেথ বেলের ওয়েলসও। তবে, ফরাসিদের গোলপোস্টে বিশ্বস্ত প্রহরীর ভূমিকায় ছিলেন হুগো লরিস।

ফ্রান্স সফরে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় অতিথিরা। রাইটব্যাক উইলিয়ামসের লাল কার্ডে ১০ জনের দল হয়ে যায় ওয়েলস।

নিসে আলাদা করে আলোচনা করিম বেনজেমাকে নিয়ে। যদিও রিয়াল মাদ্রিদের ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ। প্রায় ৬ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে পেনাল্টি মিস করাটা নিশ্চয়ই সুখকর নয়।

কিলিয়ান এমব্যাপ্পে অবশ্য সুযোগ লুফে নিতে ভুল করেননি। ৩৪ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

প্রথমার্ধের শেষদিকে অল্পের জন্য স্কোরলাইন ২-০ করতে পারেননি এমব্যাপ্পে। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেটা পুষিয়ে দেন আতোয়াঁ গ্রিজম্যান। বার্সা ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত গোলে লিড বাড়ায় ফ্রেঞ্চরা।

এদিন ভাগ্য সহায় ছিলোনা বেনজেমার। বারপোস্টে না লাগলে ৭৯ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটা তো তারই হতো। ফিরতি শটে উসমান ডেম্বেলের ফিনিশিংয়ে দলের ব্যবধান বাড়লেও, বেনজেমা সেটা কতোটুকু উপভোগ করলেন, তা তিনিই জানেন!

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here