পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গত ০৬/১১/২০১৪ তারিখে “ইউনাইটেড নিউজ ২৪.কম” অনলাইন পত্রিকায় “পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান। স্মারক নং পবিপ্রবি/জন-প্রতি-৩৯৮,  তারিখ ৯/১১/২০১৪ এ প্রেরিত লিখিত প্রতিবাদ লিপিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

সংবাদটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পবিপ্রবি’র সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

প্রকৃতপক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ের সেকশন অফিসার মোঃ নঈম কাওছার ও সান্ধ্যকালীন অফিসের সেকশন অফিসার মোঃ হুমায়ন কবির আমিনের বিরুদ্ধে চাকরী প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেন। গত জুন মাসের একটি বড় নিয়োগে ডজন খানেক প্রার্থীর কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে অর্ধকোটি টাকা নেয়ার তথ্যটিও সঠিক নহে। এছাড়া সেকশন অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান টমাস, অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নূরে আলম শাওন, এএনএসভিএম অনুষদের সেকশন অফিসার মোঃ নিজামউদ্দিনকে জড়িয়ে প্রকাশিত আর্থিক লেনদেনের তথ্যটিও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এম.পি, প্রধানমন্ত্রীর একান- সচিব-১ আব্দুল মালেক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন এ ০৩ জনই পবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক বিরাজ করছে। নিয়োগ কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক বিরাজ করছে বলে সংবাদে প্রকাশিত তথ্যটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার স্বার্থে বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদে কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন আর্থিক অনিয়ম কিংবা দূর্ণীতি হয়নি। উক্ত সংবাদে প্রকাশিত সম্পূর্ন তথ্যই অসত্য, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচক্রী মহল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলেছে যা অত্যন্ত দু:খজনক।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here