আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের দিনে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী ছুঁরি দিয়ে প্রথম স্ত্রী শিউলির কান কেটে দিয়েছে। শুধু কান কেটেই ক্ষান্ত হয়নি ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত বিক্ষত করেছে। আঘাতের যন্ত্রনায় গৃহবধু শিউলি আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের বেডে শুয়ে মরন যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। এ বর্বরোচিত ঘটনায় স্থানীয় লোকজন লম্পট স্বামী সোহাগকে আটক করে গণধোলাই দেয়। শুক্রবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

আহত গৃহবধু শিউলি জানায়, গত পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার পাঁচরুখীর গ্রামের ফজলু মেম্বারের ছেলে সোহাগের সাথে একই গ্রামের প্রবাসী জাহের আলীর মেয়ে শিউলির বিয়ে হয়। গত তিন মাস পূর্বে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া সোহাগ কুমিল্লায় সালমা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের এই সংবাদ জানার পর থেকে শিউলির সাথে স্বামী সোহাগের বাকবিতন্ডা লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহাগ দ্বিতীয় স্ত্রীর সালমার সাথে প্রথম স্ত্রী শিউলিকে এক সাথে শ্বশুর বাড়িতে যেতে বলে। শিউলি যেতে না চাইলে তর্কবির্তেকের এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী সোহাগ ধারালো ছুঁরি দিয়ে স্ত্রী শিউলির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রথমে জবাই করা চেষ্টা করে। না পেরে কান কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। শিউলির আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সোহাগ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। আশঙ্কাজনক আহত শিউলিকে পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here