ভোলা: লালমোহনে রিক্‌সা চালকের মেয়ের বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে তথাকথিত এক সাংবাদিক নামদারী প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দরিদ্র ওই রিক্‌সা চালকের মেয়ের বয়স কম অজুহাত দিয়ে ওই প্রতারক সাংবাদিক নামদারী চক্রের হোতা আব্দুর রহমান নোমানসহ তার অপর এক সহযোগি এ চাঁদা দাবী করে।

উপায়ন্তর না পেয়ে রিক্‌সা চালক বাবা তাদের ১হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পায়। পরে এরা ভুয়া জানতে পেরে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করে রিক্‌সা চালক আমির হোসেন গাজী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কমরআলী ফরাজী বাড়ির রিক্‌সা চালক আমির হোসেন গাজী রিক্‌সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট জেসমিন। জেসমিনের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স ১৮ পার হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে পাশ্ববর্তী চরফ্যাশন উপজেলায় বিয়ে দেওয়া হয় দেড় মাস আগে।

কিন্ত লালমোহনের কথিত প্রতারক সাংবাদিক নামদারী আব্দুর রহমান নোমান তার এক সহযোগিসহ ওই বাড়িতে উপসি’ত হয়। তারা রিক্‌সা চালক আমির হোসেন গাজীকে মেয়ের বয়স কম বলে থানা পুলিশকে খবর দিবে এবং পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এজন্য তারা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। মেয়ের বাবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখালেও তা ছুড়ে ফেলে দেয় নোমান। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে আব্দুর রহমান নোমানের হাতে ১ হাজার টাকা তুলে দিলে তারা চলে আসে। আসার সময় আরো টাকা দিতে নোমান নিজ হাতে নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে আসে।

এঘটনায় রিক্‌সা চালক আমির হোসেন গাজী লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বলে জানান। পরে ওই অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুুলিশ। প্রতারক আব্দুর রহমান নোমানের বিরুদ্ধে লালমোহনে এধরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কোথায় কোন বিয়ের ঘটনা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ইত্যাদি হলেই সে ন্যায় বিচারকের মতো উপসি’ত হয়ে চাঁদাবাজী করে বেড়ায় পুরো উপজেলায়। কয়েক বছর আগে ফেমাস বাংলা নামে একটি এনজিও খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে এই নোমান চক্র। তার বিরুদ্ধে আছে নারী কেলেংকারীর অভিযোগও।

সে কোন সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকলেও নিজেকে লালমোহন প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে বেড়ায় সব খানে।

এ ব্যাপারে লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল আজীজ শাহিন জানান, এ ধরণের নোংরা লোক লালমোহনের সাংবাদিকদের সম্মান নষ্ট করছে। আব্দুর রহমান নোমান প্রেসক্লাবের সদস্য না হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে আইনপ্রয়াগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।

লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান লিটন জানান, নারী কেলেংকারীর অভিযোগে অভিযুক্ত এমন একটা দুশ্চরিত্রের লোক লালমোহনের সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।

শিপুফরাজী/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here