Alexanderলক্ষ্মীপুর ও রামগতি প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে ৭০ টি ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০কোটি টাকা বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি ও নোয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে।

পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার রাত ১টার সময় জুয়েলারি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুণের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় জুয়েলারি দোকান, মুদি, গার্মেন্টস, ষ্টেশনারী, খাবার হোটেল, ইলেকট্রনিকস দোকানসহ ছোট বড় ৭০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে  রামগতি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট  ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দিলেও দেরীতে আসার কারণে এত বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ব্যাংকের লোন নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কংকন চাকমা, সহকারী পুলিশ  সুপার( সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়া, রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। এতে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়া ও রামগতি ফায়ার স্টেশন ম্যানেজার  মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে বহু দোকানপাট। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। তদন্ত করে বলা যাবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবী করেন সহকারী পুলিশ সুপার।

এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাত  ১ টার সময় একটি জুয়েলারি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here