আরেকটি হতাশার পথে বাংলাদেশস্টাফ রিপোর্টার :: দুদিন, দুরাত ধরে টানা বৃষ্টিতে আউট ফিল্ডে পানি জমে গিয়েছিলো। কিন্তু বৃষ্টি থামতেই ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মাঠ খেলার উপযোগী করে ফেললেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। একটু দেরী করে ৫০ ওভারের বদলে ৪০ ওভারের খেলা শুরু হলো।
দুর্ভাগ্য এই যে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেই ৪০ ওভারও খেলতে পারলেন না। আরও একটি হতাশাজনক ব্যাটিং প্রদর্শনী করে মাত্র ৩৬,৩ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। আর এই ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টির মতো সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও আরেকটি হতাশাজনক ফলাফলের পথে হাঁটতে শুরু করলো বাংলাদেশ দল।

টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুদিন ঢাকা থাকা উইকেটে এমন সিদ্ধান্ত সঠিক কি না, সে নিয়ে তর্ক চলতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেটের কোনো বৈরী আচরণের শিকার অন্তত হলেন না। মূলত অভিষিক্ত কাগিসো রাবাদার নিখুঁত ও গতিশীল বোলিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন তারা।

রাবাদা এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে নাম লেখালেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের পাশে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই মাঠে অভিষেকে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। উইকেট সংখ্যা নয়, উল্লেখ্য ব্যাপারটা হলো হ্যাটট্রিক। অভিষেকেই পৃথিবীর প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তাইজুল।

এবার হ্যাটট্রিক করে ওয়ানডে অভিষেক রাঙালেন কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার নাম লেখালেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের পাশে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ৩৯তম হ্যাটট্রিক। তবে অভিষেকে হ্যাটট্রিক আছে শুধু এই দুজনেরই।

চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। ১৩ বল খেলে কোনো রান না করেই ফেরেন তিনি। পরের বলে ফারহাদ বেহারদিনকে শূন্য রানেই ক্যাচ দেন লিটন দাস। পরের বলে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দেখান রাবাদা।

অষ্টম ওভারে সৌম্য সরকারকে ফেরান অভিষিক্ত পেসার রাবাদা।

এখান থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করার একটা চেষ্টা করেন পুরোনো দুই সৈনিক মুশফিক ও সাকিব। বহু জুটির এই দুই অংশীদার দলকে এগিয়েও নিচ্ছিলেন ভালোই। মুশফিকুর রহিমকে বিদায় করে তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন জেপি দুমিনি। তার বলে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ইমরান তাহিরের ক্যাচে পরিণত হন ২৪ রান করা মুশফিক।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে না পারা সাব্বির রহমান ছন্দে ফিরতে পারেননি ওয়ানডে সিরিজেও। ৫ রান করে ক্রিস মরিসের বলে বোল্ড হয়ে যান এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এরপরই মাশরাফিকে ফিরিয়ে অভিষেকে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন রাবাদা।

আর জুবায়ের হোসেনকে আউট করে অভিষেক ম্যাচে ৬ উইকেট তুলে নেয়ার ভেতর দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের মালিক হয়ে গেলেন রাবাদা। এর আগে ফিদেল এডওয়ার্ডস ২২ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here