লেখক- জেসমিন দীপা

জেসমিন দীপা :: আমি তখন সিক্সে পড়ি, খুলনা হাজী মোহসিন গার্লস স্কুলে৷ খুব মজা করে স্কুলে যেতাম৷ স্কুল, ক্লাস , বন্ধুদের সঙ্গ এনজয় করতাম৷ মিলি, সুমী, মীরা, লাইজু, চাঁদনী ক্লাসের ফাঁকে খেলাধুলা করতাম ৷ দুষ্টু ছিলাম না আমরা কেউ৷ চাঁদনী বেশ ফাস্ট ছিল ঐ বয়সেই ৷লাইজু ছিল সবচেয়ে ভদ্র মেয়ে৷
একবার ক্লাস থেকে ঠিক হলো পিকনিক করবো আমরা৷ শাড়ি পড়বো৷ ভীষন উত্তেজনায় কাটছে সময় ৷ মনে হয় ওটাই ছিল আমার প্রথম ঘটা করে শাড়ি পড়া৷

অন্যদিকে মনে ঘুরপাক খাচ্ছে শঙ্কা, শাড়ি পাবো কোথায়? আম্মা তো দেবেনা আমাকে শাড়ি৷ ভীষন উৎকণ্ঠায় আছি৷ মন খারাপ করে থাকি , আমার কি পিকনিকে যাওয়া হবে না? শাড়ি পড়বো না?
আম্মা তখন অসুস্থ৷ তখন বুঝতাম না অসুখের ভয়াবহতা, এখন বুঝি৷ সবাই বলাবলি করতো আম্মার উপর খারাপ জ্বিনের আছড় হয়েছে৷ এখান থেকেই নানান উপসর্গ৷
তিনটা লক্ষণ বেশী প্রকাশিত ছিল৷ অতিরিক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বাতিক, আব্বাকে সহ্য করতে না পারা, বাধা দিলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া৷

সারা দিন, উদয় অস্ত অবধি আম্মা বাসা পরিস্কার করতো৷ রান্নাবান্না বা অন্য কোন কাজ করতো না৷ ফার্নিচার মোছা , দড়জা জানালা মোছা, কাপড় ধোয়া এসব নিয়ে থাকতো৷
আমাদের জন্য সপ্তাহে একটা’র বেশী জামা বরাদ্য দিতো’না বাহিরে পড়ার জন্য৷ কারন সেটা একবার পড়লেই ধুতে হবে৷
এই রকম অবস্থায় আম্মা কখনোই আমাকে শাড়ি পড়তে দেবে সেটা ভাবতেই পাড়িনি৷
বড় আপাদের সাথে শেয়ার করলাম , আমি শাড়ি পড়তে চাই৷

একদিন ভয়ে ভয়ে আম্মার কাছে প্রস্তাবও করা হলো৷ আম্মা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা দিলো৷ কোন তদবিরে কিছু হলোনা৷ আমার মন খারাপ ৷ মন ভার করে বসে থাকি৷ বড় আপা বলল, আপার শাড়ি পড়তে ৷ কিন্তু কিভাবে? আম্মার তো অনুমতি নেই , পড়বো কোথায় শাড়ি, যাবো কিভাবে?
একটি উপায় বাহির হলো৷ স্কুল ব্যাগে করে শাড়ি নিয়ে যাবো সুমী’র বাসায় ৷ ওখানে যেয়ে শাড়ি পড়ে তারপর পিকনিক স্পটে৷

নির্দিষ্ট দিন চলে এলো৷ আপা অনেক কসরৎ করে আম্মার চোখ ফাঁকি দিয়ে শাড়ি সহ আনুসাঙ্গিক সব কিছু আমার ব্যাগে ভরে দিলো৷ আমি আম্মার চোখ আড়াল করে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম৷

আম্মার পরিস্কার বাতিক নিয়ে সংসারে সব সময় অশান্তি লেগে থাকতো৷ আব্বার প্রতি কোন নজর দিতো না, কোন কথা শুনতো না৷ সারাদিন শুধু মোছামুছি৷ আব্বা কখনো রাগ করে বাধা দিলে আম্মা অজ্ঞান হয়ে যেতো৷ সেদিন গুলো ছিল দূর্বিসহ যন্ত্রনার৷ আমরা বোনেরা কখন কোন শখ আহ্লাদ করতে পারতাম না৷
অভিযোগ ও ছিল না৷ কারন ওটা তো ছিল অসুখ৷ আব্বা অনেক চেষ্টা করতো আম্মাকে সুস্থ্য করতে৷ আম্মা সুস্থ্য হয়েছে অনেক বছর পর।

 

(দুই)
শাড়ি নিয়ে সুমী’র বাসায় গেলাম, ওখানে আর সব বন্ধুরা এসেছে ৷ আমার মন হয়ে গেল৷ সবাই সুন্দর দামী শাড়ি পড়ছে, আমারটা খুবই সিম্পল ৷ কারন এটা তো আপা’র শাড়ি৷ আম্মার ছিল ওমন দামী সুন্দর শাড়ি৷
আমি কি বলবো? ম্যানেজ করা’র জন্য বললাম —গরমের জন্য সূতী শাড়ি এনেছি৷
সেই শাড়ি পড়ে সাজু গুজু করে গেলাম পিকনিক স্পটে৷ পাইলট নামের একটি জায়গা৷ অনেক বড় , খোলামেলা জায়গা৷ পুরা জায়গা জুড়ে সফেদা বাগান, মাঝে মাঝে দুই একটা পেয়ারা, নারিকেল গাছ৷
মজা করে ঘুরলাম, ছবি তুললাম , খেলাম ৷
একসময় সূতী শাড়ি’র শোক ভুলে গেলাম ঠিকই কিন্তু মনে মাঝে এসে ভর করলো বাসায় ফিরবো কিভাবে৷ আম্মা তো আস্ত রাখবেনা জানতে পারলে৷
ফেরার সময় আর সুমীর বাসায় যাওয়া হলোনা৷ শাড়ি পড়েই বাসায় ফিরলাম৷ উপর বেলকোনী থেকে আপা দেখলো আমাকে৷ সিঁড়ি ঘরে চেঞ্জ করলাম, শাড়ি কাপড় অগোছালো ভাবে ব্যাগে ভরলাম ৷ দুরু দুরু বুকে বাসায় ঢুকলাম৷
আম্মার চোখে সন্দেহ৷ আমি যতোটা পারছি আমার নজর বাঁচিয়ে চলছি৷
কিন্তু মায়ের নজর বলে কথা৷ কিভাবে যেন বিষয়টা আম্মা বুঝে ফেললো৷ আপা আমাকে সেইফ করার চেষ্টা করলো ৷ আপা বললো—
আমি শাড়ি লন্ড্রিতে দিয়ে ধুয়ে এনে দিবো, তোমাকে ধুতে হবে না৷
এরপর আরো দুই তিন আম্মা সুযোগ পেলেই বকা দিয়েছে, কত বড় সাহস
হয়েছে মেয়ের ৷ লুকিয়ে শাড়ি পড়েছি!!

 

(তিন)
ক্লাস এইট নাইন টেন এলিভেন টুয়েল্ফ কেটেছে খালাআম্মাদের শাড়ি পড়ে৷ স্কুল কলেজের কোন প্রোগ্রাম থাকলে , পিকনিক থাকলে প্রথমেই যে আনন্দটা মনে ভর করতো সেটা হলো শাড়ি পড়বো
রাত গুলো সেই ভাবনায় কাটতো৷ শাড়ি সিলেক্ট করা, খালাআম্মার ব্লাউজটা সেলাই করে পড়ার উপযুক্ত করা৷ মেচিং জুয়েলারী, চুল বাঁধবো কিভাবে? বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা৷
কাঙ্খিত দিন এলে কি যে আনন্দ হতো মনে৷ প্রহর গোনা শেষ৷
ঐ সময় ইন্ডিয়ান ব্রকেট শাড়ি’র খুব চল৷
একটু ভারী টাইপের শাড়ি হতো৷ কাতানের থেকে ভারী৷ সীমান্তবর্তী এলাকা কাছাকাছি হওয়াতে ইন্ডিয়ান শাড়ি তখন আমাদের এলাকার মা খালাদের হাতের নাগালে৷

দরিদ্র নারীরা সীমান্তে এলাকায় যেয়ে ১০/১৫ টা করে শাড়ি আনতো , ওপারে’র দালালের কাছে থেকে৷ পুলিশ সামলাতে কিছু ঘুষ দিতো৷ সেই শাড়ি এনে গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেঁচতো৷ শেষ হলে আবার যেতো, আনতো৷
শাড়ি বহন করা’র বিশেষ দক্ষতা ছিল এসব নারী’র ৷
শরীরের সাথে , বুকে পিঠে পেটে শাড়ী গুলো বেধে নিতো , তার পর পেটিকোট ব্লাউজ শাড়ি পড়তো ৷ আঁচলটা সুন্দর করে মাথায় দিয়ে নিজেকে সুন্দর ভাবে ঢেকে নিতো৷ যারা বিষয়টা জানেনা, তারা বুঝতেঐ পারতোনা দেখে৷
হিলি সীমান্ত স্টেশন থেকে ট্রেনে করে অনেক নারী’রা ওভাবে শাড়ি বহন করার সময় পুলিশের চেকিং এ ধরা পড়তো৷
ধরা পড়ে নিঃশ্বেষ হতো৷ পুলিশ শাড়ি গুলো সব সিজ করে নিতো৷ পুঁজি হারিয়ে বেকার হয়ে যেতো ওরা৷

(চার)
বিয়ের পর আমার অনেক শাড়ি৷ তখন আর কারোর শাড়ি পড়িনা৷ নিজেরটা নিজে পড়ি৷ খুব ভালো লাগতো শাড়ি পড়তে৷
সে সময় গুলো ছিল জীবনের অন্যরকম একটি অধ্যায়৷ অনেক কল্পনার ফানুস উড়ে আকাশে, বাতাসে, স্বপ্নে, জাগরনে…
নাটক সিনেমায় কত বার দেখা হয়েছে শাড়ি নিয়ে রোমান্টিজম৷ নায়ক নায়িকার শাড়ির আঁচল টেনে ধরে, কি সুন্দর করে ঘোমটি খুলে বউয়ের মুখ দেখে৷
কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম৷
বাস্তবে এমন কিছু হয় কিনা আমি জানিনা৷

আমার বর কখন শাড়ি পছন্দ করেনি৷ কখনো বলেনি শাড়িতে তোমায় সুন্দর লাগে নীরু, মেরুন রঙে তোমাকে মানায় ভালো৷ কখনো নিজে থেকে হাতে করে একটিও শাড়ি কিনে আনেনি৷
এমন কি দশ বছর আগের শাড়ি পড়লেও বুঝতে পারেনা নতুন কি পুরাতন, নতুন শাড়িকেও দিব্যি পুরাতন বলে চালিয়ে দিতে পারি৷
বিয়ের পর যখন শ্বশুর বাড়ি যেতাম , দেখতাম আমার জায়েরা সবাই সালোয়ার স্যুট বা মেক্সি পড়ে বাসায়৷ আমি শাড়ি পড়তাম৷ ওরা ভেবে নিলো আমি লজ্জা করে বা নতুন বউয়ের শাড়ি পড়তে হবে এই সংস্কার থেকে শাড়ি পড়ছি৷ জায়ে’রা বলল — তুমি সালোয়ার কামিজ পড়তে পারো, সমস্যা নেই৷ কেউ কিছু মনে করবে না৷

ছোট ছোট ভাতিজা ভাতিজি আমাকে ঘিরে বসে থাকতো৷ ওদের মনে হাজারো প্রশ্ন৷ আমার কি ভালো লাগে, কি লাগেনা, কি করতে ভালো লাগে , কি ভালো লাগেনা৷
—চাচী তুমি শাড়ি পড়েছো কেন?
তোমার কি অন্য জামা নেই?
হাজারটা প্রশ্ন৷
এরপর এক দুই বছর করে কেটে গেল কয়েক বছর৷ আমি ধীরে ধীরে শাড়ি থেকে দূরে চলে যাচ্ছি৷ প্রধান কারন আমার বর পছন্দ করতোনা৷ ওর যুক্তি শাড়িতে আমি কমফর্টেবল নয়৷
সালোয়ার স্যুট এ আমি ইজিলি মুভ করতে পারবো৷ স্বাচ্ছন্দ থাকবো৷

(চার)
আমার মেয়ের যখন দুই বছর ঠিক তখন ওকে শাড়ি কিনে দিলাম৷ আমার খুব মনে আছে, ইস্টার্ণ প্লাজা তখন সবচেয়ে বিলাশ বহুল শপিং কমপ্লেক্স ৷ ঢাকায় এলেই ওখানেই শপিং হতো৷ প্রথম স্কেলেটর এ ইস্টার্ণ প্লাজাতেই উঠা৷
একটা লাল টুকটুকে শাড়ি কিনেছিলাম বাবুর জন্যে৷ নিজ হাতে সেলাই মেশিনে ব্লাউজ পেটিকোট বানিয়ে দিলাম৷ পাঁচ বছর বয়স হলো যখন তখন ওর ৮/১০ টা শাড়ি৷ মেয়ে আমার শাড়ি পড়তে ভীষন পছন্দ করতো৷ সকালে ঘুম ভাঙ্গলে নাস্তাটা সেরেই শাড়ি নিয়ে ছুটতো , আম্মু পড়িয়ে দাও৷ প্রতিদিনের রুটিন ছিল৷
স্কুলে যাওয়ার পর রুটিনটা চেঞ্জ হলো৷ স্কুল থেকে ফিরে শাড়ি পড়তো৷
আমি দিনে দিনে সরে গেলাম শাড়ি থেকে ৷ আলমারিতে বেশ কিছু শাড়ি পরে থেকে থেকে ওল্ড মডেল হতে বসল৷ নতুন থাকলেও কোথাও কখনো পড়ে গেলে শুনতে হতো ,
— ভাবীর শাড়িটা অনেক আগের তাইনা৷
বিদ্রুপের মতো শোনাতো ৷

ধীরে ধীরে বিদায় করে দিলাম প্রায় সব শাড়ি৷ বিশেষ স্মৃতি বহন করে এমন কয়েকটা রেখে৷
আম্মা, আমার বোন’রা রেগুলার শাড়ি পড়ে৷ ওদের দিয়ে দিলাম সব ৷ অন্তত নষ্ট না হয়ে কিছু তো কাজে লাগুক৷

সবাই জেনে গেল নীরু শাড়ি পড়েনা৷ কোন অকেসনেও নয়৷ বিয়েবাড়ি বা অন্য কোন পার্টিতেও নয়৷
দেখা হলো তো অনেকেই বলতো ,
—শাড়ি পড়িস না হ নীরু?
আমার মেঝ আপা খুব সরল , সাদা সিধে৷
ও প্রায়ই বলতো,
— তোর বেটি বড় হচ্ছে , জামাই হলে ,তখনো শাড়ি পরবু না হো নীরু?
— না আপা পড়বোনা৷ এখন তো সবাই সালোয়ার কামিজ পড়ছে৷
আপা বলতো,
— তোর জামাই কি কোবে? যতোই ক শাড়িতে সুন্দর লাগে৷ দেখিস না কলকাতার সিরিয়াল গুলাতে সব মেয়েরা শাড়ি পড়ে!
আমি বলতাম ,
—আচ্ছা পড়ুক ৷

 

(পাঁচ)
আমি আবার শাড়ি ধরলাম৷ যেদিন থেকে কোন সাহিত্যানুষ্ঠানে যেতে শুরু করলাম৷
শাড়ি ছাড়া সাহিত্য হয় এটা আমার মনে হয়না৷
শাড়িতে চুরিতে মন ভরে যায়৷ শাড়ি পড়তে আমার ছয়টা সেফটিপিন লাগে৷ দুটো নিজে লাগাতে পারিনা, খুলতে পারিনা, হাত যায়না৷ বাবু লাগিয়ে দেয়, খুলে দেয়৷

আলমারি ভর্তি শাড়ি তে৷ আলমারির একটা কাবার্ডে আমার বরের ব্রীফকেস থাকতো, সেটাও এখন অন্যখানে, জায়গা হয়না৷

ছোট বেলায় যখন পুতুল খেলতাম তখন থেকে নারী’র জীবনে তের’হাত শাড়ি’র গন্ডি তৈরী হয়ে যায়৷ কখন বাঁধন একটু ঢিলা কখনো শক্ত৷
কখনো ছেড়ে চলে যায়না৷ শাড়িতে দেখেছি দাদী নানী, মা খালা চাচী ফুপু বোন৷
শাড়ির সৌন্দর্য্য পৃথিবীময়৷ শাড়ির আঁচল কবি’র কবিতার খাতা!
শাড়িতে সুন্দর ললনা, শ্বাশত সুন্দর৷

শাড়িতেই নারীর সৌন্দর্য্য’। এমন একটা ধারণা আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। বাঙ্গালী ঐতিহ্যের সঙ্গে সেই কোন কাল থেকে শাড়ি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পশ্চিমী সভ্যতায় গা ভাসিয়ে যতই আধুনিকা হয়ে হয়ে উঠুক বাঙ্গালী নারী, শাড়িতেই সে অনন্যা।

মেক্সিম গোর্কী’র “মা” তখন খুব জনপ্রিয়৷ তখনই আমাদের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক লিখে ফেললেন উপন্যাস “মা”
এবং বললেন কেবল মেক্সিম গোর্কীর নয় , আমাদেরও একটি মা আছে৷

অধ্যাপক , স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের লেখা একটি গল্প আছে “শাড়ি”
আমারও বলতে ইচ্ছে হলো—
আমারো একটি শাড়ি আছে৷

লাল শাড়ীতে লাগে তারে অনক বেশী ভালো
নীল শাড়ীতে জ্বলে যেন জ্যোৎস্না চাঁদের আলো।

কালো শাড়ী, সেতো, যদি কভূ পড়ে
রিমঝিমিয়ে ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি যেন ঝড়ে।

হলুদ গাঁদা মাথায় গুঁজে পড়ে হলুদ শাড়ী
চোখের পলক পড়েনা যে,মানায় তাকে ভারী।

সবুজ শাড়ী গায়ে জড়ালে,যেন গাছের পাতা
ইচ্ছে করে লিখতে থাকি খুলে কবিতার খাতা।
(কৌশিক)

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here