ঢাকা: মঙ্গলবার টি২০ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম ম্যাচে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগাতিক বাংলাদেশের মোকাবেল করবে নেপাল।

এ ম্যাচকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে সোমবার অনুশীলন করেছে দুদলই। এদিকে রবিবার নেপাল-হংকং ম্যাচটি চমকে দিয়েছে অনেককেই। প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আর হল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয়া হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছে বলেই নয়, নেপাল মাঠের খেলার পাশাপাশি চমকে দিয়েছে গ্যালারির সমর্থনেও। স্টেডিয়ামে বেশ ভালো সমর্থন ছিল নেপালের। সংখ্যায় প্রায় ৪ হাজার তো হবেই। দর্শকদের গলাফাটানো সমর্থনের কারণে মনে হয় দেশ থেকে এত দূরে এসে খেলছে নেপাল। অবশ্য মঙ্গলবারের  ম্যাচে গ্যালারিতে আরও বেশি দর্শক প্রত্যাশা করছেন নেপাল অধিনায়ক পরেশ খড়কা। তিনি বলেন, স্বাগতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের ভালো সমর্থক তো হবেই। তবে পাশাপাশি আমাদেরও ছয় হাজারের মতো দর্শক থাকবে বলে আশা করছি। এ দর্শকদের সঙ্গে নিয়েই মাঠে কাল উজ্জীবিত ক্রিকেট খেলতে চায় হিমালয় কন্যার দেশটি।
বাংলাদেশ-নেপাল মাঠের দ্বৈরথের আড়ালে দুই দেশের দর্শকদেরও একটি প্রতিযোগিতা আসন্ন। এ প্রতিযোগিতায় নিশ্চয়ই হারতে চাইবে না বাংলাদেশের সমর্থকেরা! প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাবটা মেলাতে সময়ের প্রয়োজন। তবে গ্যালারি যে লাল-সবুজে মাতবে, সেটা এখনই আঁচ করা যাচ্ছে। টিকিট টিকিট বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে স্থানীয় ক্রিকেটামোদীরা। ৫০ টাকার টিকিট হাজার টাকায়ও হাতবদল হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
মুখোমুখি দুটি দল প্রথম ম্যাচ জিতলেও দুই দেশের শক্তির তফাত রয়েছে। সেটি স্বীকার করছেন পরেশ। তার পরও স্বদেশি দর্শকদের জন্যই ভালো খেলতে মুখিয়ে আছেন বলেন জানালেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভালো দল। টেস্ট খেলে। সবাইকে চিনি। তবে আমাদের দর্শকেরা আমাদের বেশ উজ্জীবিত করেছে। তাদের জন্য, দেশের জন্য ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।
পক্ষান্তরে নেপালিরা সাকিব, মুশফিকদের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতেই পারেন। কিন্তু নতুন একটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচয় তেমন নেই মুশফিকদের। সেটা স্বীকারও করলেন মুশফিক। তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রস্তুতি ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। নতুন দিন, নতুন দেশ। তবে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।
অবশ্য নেপালি ক্রিকেটারদের মতো অচেনা নয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। এর পরও সোমবার মাঠে নেমেই চলে গেলেন উইকেটে মুশফিক। পরখ করলেন। তার পর মন দিলেন অনুশীলনে। চাপকে জয় ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এ ম্যাচটি জিতলেই সুপার-১০ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। তর পরও অবশ্য মুশফিক সতর্ক। তিনি বলেন, টি২০ ক্রিকেটে যেকোনো একজন ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এ ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভালো ক্রিকেটার আছে। আমরা চাপের মধ্যেও ভালো খেলি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here