আদিবাসী পল্লীর ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ       মোঃ মিলন পারভেজ, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তাফাপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর চিড়াকুটা আদিবাসী গ্রামে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় দু’টি এনজিও পরিচালিত কারিতাশ ও ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ২৪ জানুয়ারী শনিবার ভূমিদস্যু জহুরুল হকের অনুসারীরাসহ চারপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় গত ৭দিন ধরে দু’টি এনজিও পরিচালিত কারিতাস ও ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের লেখাপড়া একেবারে বন্ধ গেছে।

ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সরলা টুডু ও প্রিতুনি টুডু (৭) জানান, আগুনে আমাদের ঘরবাড়ী পুরে যাওয়ায় আমার সব বই পুড়ে গেছে। আমি স্কুলে যাব কি করে।

কারিতাস স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়ন্তি টুডু (৬), রনি কিসকু (৭) অর্ঘ্য টুডু (৬) জানান, আমাদের স্কুলে পুলিশ থাকে। তাহলে আমরা কি ভাবে স্কুল যাব।

কারিতাস স্কুলের শিক্ষিকা পুতুল মুরমু বলেন, আমাদের স্কুলটি এখন পুলিশ ক্যাম্প করে আছে। যার ফলে বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। ফলে বাচ্চাদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা রিনা কিসকু বলেন, আমাদের ব্র্যাক স্কুলটি ভাংচুর ও আদিবাসী গ্রামে অগ্নি সংযোগ করায় অনেক বাচ্চাদের বই পুড়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলের লেখাপড়া।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারী শনিবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের হাবিবপুরে ১৪ একর জমি নিয়ে আদিবাসিদের সাথে বড়দল সরকার পাড়া গ্রামের জহুরুল হকে লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তীর বিদ্ধ হয়ে জহুরুল হকের ছেলে সোহাগ মারা যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরুল হকের অনুসারীরাসহ চারপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতারাজ করে। এতে অর্ধশত বাড়ী ৰতিগ্রস্ত হয়। লুটপাট করা হয় আদীবাসিদের দেড় শতাধিক।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here