আসাদুজ্জামান সাজু।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারম্নককে(৩০) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ্বন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার আকতারম্নন নেছা এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক ওমর ফারম্নক সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহলি উপজেলার খাস কাউলিয়া গ্রামের লাবু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত রয়েছেন।
আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মিজানুর রহমান জানান, আদিতমারী হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চাকুরীর সুবাদে বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলা সদরের গ্রামীন ব্যাংক মোড়ে তানিশা মেডিকেল সেন্টার নামে এক চিকিৎসা কেন্দ্র খুলেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক ও আদিতমারী হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিষ্ট মনিরুল ইসলাম।
বৈধ্য কোন কাগজপত্র না থাকলেও তারা নিজেকে বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা পত্র ও প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আসছেন।
এমন একটি গোপন খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ নিয়ে সোমবার রাতে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকতারম্নন নেছা।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে একজন পালিয়ে গেলেও আটক হন ওমর ফারুক। পরে বৈধ্য কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ভোক্তা অধিকার আইনে ওমর ফারুককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ্বন্ডাদেশ প্রদান করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই সাজাপ্রাপ্ত ওমর ফারুককে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।